যে ৮টি অভ্যাসের চর্চা করেন চরম সুখী দম্পতিরা

Happy_copul_Newsshomoyআমরা কিভাবে বুঝতে পারি যে, তারা সুখী দম্পতি? তাদের হাসি এবং জীবনের নানা আনন্দ দৃশ্যমান হলেই তাদের সুখের নিশানা পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাদের মতের অমিল বা তর্ক-বিতর্কও আমরা দেখতে পাই না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে সুখী দম্পতিরা এমন কিছু নিয়মের চর্চা চালান যা তাদের সত্যিকার অর্থে সুখী করে তোলে। জেনে নিন চরমভাবে সুখী দম্পতিরা প্রতিদিনই কোন ৮টি অভ্যাসের চর্চা করেন।

১. তারা একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞ : জীবনের সবকিছুতে মনোযোগ দিতে হবে। সমস্যা বা সফলতা বা আয়োজন- সবকিছু খেয়ালের মাঝে রাখতে হবে। এতে করে প্রতিটি বিষয় আরো বিস্তারিত এবং উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠবে। যারা চরম সুখী, তারা একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিকে দারুণ মনোযোগ দেন। প্রতিদিনই তারা কিভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠছেন, এ বিষয়টি তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

২. ক্ষোভ নিয়ে বিছানায় যান না : সুখী দম্পতিরাও ঝগড়া করেন। তাদের মাঝে দারুণ রেষারেষি চলতে পারে। কিন্তু যারা চরম সুখের সন্ধান করেন, তারা দিনের শেষে হাসিমুখে ঘুমাতে যান। তা ছাড়া নেতিবাচক কিছু ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সাবধান তারা। দুজনই মনে রাগ নিয়ে বিছানায় উঠলে তার মাত্রা আরো বাড়তেই থাকে। তাই সচেতনরা বিবাদ মিটিয়ে রাত পার করেন।

৩. আবেগাপ্লুত অন্তরঙ্গতা : প্রত্যেক সম্পর্কে নানামুখী আবেগের স্ফূরণ থাকে। সময়ের সঙ্গে এই আবেগ ধূসর হতে থাকে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে সুখী দম্পতিদের সময়ক্ষেপনে কিছুই যায় আসে না। তারা একে অপরকে সব সময় চরম আবেগের সঙ্গে চুম্বন করেন। তাদের অন্তরঙ্গতায় আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে প্রতিবার।

৪. তোমায় ভালোবাসি : সঙ্গী-সঙ্গিনীরা এ কথা একে অপরকে বলেন। কিন্তু এ ভালোবাসায় নানা অনুচ্চারিত শর্ত আরোপিত হয়। একমাত্র চরম সুখীরাই বলতে পারেন, যাই ঘটে যাক না কেন, আমি তোমায় ভালোবাসি। এ প্রেম ক্রমশ বাড়তেই থাকে। আর সচেতনভাবে এর চর্চা চালিয়ে যান তারা।

৫. সুযোগ পেলেই ডেটিং : ভালোবাসার প্রাথমিক সময়টাতে হয়তো ঘন ঘন ডেটিং চলতো। বিয়ের পর তাতে লাগাম টানা হয়। সংসার সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দুজনই। কিন্তু সবার চেয়ে বেশি সুখীদের ডেটিং দিতে কোনো সমস্যা নেই। তারা সময় ও সুযোগ পেলেই বাইরে ঘুরতে যান। একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে বসে খান। তাদের ডেটিং চলতেই থাকে।

৬. নিয়ন্ত্রণে থেকেই বিতর্কের অবসান ঘটান : চরম সুখীরা ঝগড়া করলেও নিয়ন্ত্রণে থাকেন। চিৎকার-চেঁচামেচি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন না। আর এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই সব মিটিয়ে ফেলেন তারা। আর এ চর্চা তাদের সুখে বিষ ঢালতে পারে না কখনো।

৭. অপরের অনুভূতিকে মর্যাদা দেন : পারস্পরিক বোঝাপড়া চরম সুখের অন্যতম শর্ত। তাই যারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী তারা একে অপরের অনুভূতিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেন। এ কারণে তাদের সম্পর্কটা সব সময় স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে থাকে।

৮. তারা ঘুরে বেড়ান নতুন কিছু খুঁজে বের করেন : দুজন মিলে ঘুরতে যাওয়া সব সময় দারুণ উপভোগ্য। চরম সুখীরা কেবল ঘুরতেই যান না, তারা নতুন নতুন স্থান আবিষ্কারে মেতে ওঠেন। রোমাঞ্চকর অনুভূতি ভাগাভাগি করে নেন। তারা চরমভাবে তৃপ্ত থাকেন জীবনে। নতুন জীবন, নতুন সংস্কৃতি বা নতুন যেকোনো কিছু মানুষকে দারুণভাবে উদ্বেলিত করে। এই নেশা একমাত্র চরম সুখীদের মাঝেই দেখা যায়। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.