অভিষিক্ত কাইল মায়ের্সের ডাবল সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড জয়
কাইল মায়ের্সের ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজে। দুই ম্যাচের টেস্টে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ক্যাবীয়ানরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছে না বলে ম্যাচে অভিষিক্ত কাইল মায়ের্স ও এনক্রুমা বোনারের কাছে হেরেছে বলাই ভালো।
চট্টগ্রামে মুখ থেকে শিকার হারানো ক্ষুধার্ত বাঘের দশা বাংলাদেশের। আগের দিন জয়ের স্বপ্ন দেখা ম্যাচটা ক্যারিবীয়দের কাছে হারের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মুমিনুলদেরকে।
আগের দিন যেখানে শেষ, সেখান থেকেই আবার শুরু। টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশি স্পিনাররা যদি হয়ে থাকেন ফোনা তোলা নাগিন তাহলে ব্যাট হাতে পেশাদার সাপুড়ে মায়ের্স ও বোনার। ছন্দময় ব্যাটিংয়ে বিনের সুর তুলে বশ করেছেন তাইজুল, মিরাজ, নাঈমদের একেকটা স্পিন ছোবল।
অভিষিক্ত দুই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড ২১৬ রানের জুটি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় স্বাগতিকদের। একটা উইকেটের জন্য পুরো দুইটা সেশন হাহাকার করেছে বোলাররা।
কুচকির চোটে ছিটকে যাওয়া সাকিবের অভাবটা ফুটে উঠলো দারুণভাবে। অবশেষে তৃতীয় সেশনে ৮৬ রান করা বোনারকে পরাস্ত করে উইকেটের দেখা পান বার্থডে বয় তাইজুল ইসলাম। ততক্ষণে ক্যারিবীয়দের স্কোর বোর্ডে জমা পড়েছে ২৭৫ রান। জয়ের ভীতটা তৈরি হয়েছে তখনি।
এরপর কেইল মায়ার যা করলেন তা হয়তো স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ডবুকে। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাকে নিয়ে গেছেন দুইশ রানে। ধীরস্থির, অবিচল, আত্মবিশ্বাসী, আগ্রাসী সব বিশেষণেই মানানসই করলেন নিজেকে।
২১০ রানে অপরাজিত থেকে অবিস্মরণীয় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন কেইল মায়ের্স। যা টেস্ট ইতিহাসে রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চম জয়।
২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল উইন্ডিজরাই। ২০০৮ সালে অজিদের বিপক্ষে ৪১৪ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়া করার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০৪ রান তুলেছিল অজিরা। ১৯৭৬ উইন্ডিজদের বিপক্ষে ৪০৬ রান তুলে মাঠ ছাড়ে ভারত।
এদিকে বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি উইকেট শিকার করেছেন নাইম ইসলাম। একটি উইকেট আদায় করেন তাইজুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ
৪৩০ ও ২২৩/৮ (ইনিংস ঘোষণা)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২৫৯ ও ৩৯৫/৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন উইকেটে জয়ী