একাই দেশের ১০ ভাগ বিদ্যুৎ দেয় যে পাওয়ার প্ল্যান্ট। (ভিডিও)
এককভাবে উৎপাদনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশাল পাওয়ার প্লান্ট – পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (কলাপাড়া, পটুয়াখালী)।
উৎপাদনক্ষমতা 1320 মেগাওয়াট। গভর্নিং প্রতিষ্ঠান-BCPCL.14 ই মে 2020, এর প্রথম ইউনিট অর্থাৎ 660 মেগাওয়াট বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরম্ভ করে। আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে পরিচালিত এটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জেনারেশন টেকনোলজির দিক দিয়ে এটি আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট।
সুপারক্রিটিক্যাল আর আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল এই টার্ম দুটি মূলত উৎপাদিত স্টিমের চাপ আর তাপমাত্রার পরিমাণ নির্ধারণ করে। উৎপাদিত স্টিমের চাপ আর তাপমাত্রার ভেরিয়েশন এর ফলেই জেনারেশন প্লান্ট এর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত সুপারক্রিটিক্যাল স্টিমের চাপ থাকে(250 থেকে 270 বার, আর তাপমাত্রা থাকেন 560 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে 600 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)।
অপরদিকে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল এর ক্ষেত্রে স্টিমের চাপ থাকেন 285 বার আর তাপমাত্রা থাকেন 600 থেকে 620 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট।
দেশীয় কয়লা দিয়ে উৎপাদিত রাষ্ট্রের বিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (গভর্নিং প্রতিষ্ঠান- পিডিবি)(উৎপাদন ক্ষমতা-525 MW) বেজ লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে মূলত ব্যবহার হয়-স্টিম টারবাইন পাওয়ার প্লান্ট বেজ লোড পাওয়ার প্লান্ট এর ফুয়েল হিসেবে মূলত ব্যবহার হয়-কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পারমাণবিক শক্তি। পিক লোড অথবা পিকিং পাওয়ার প্লান্ট এর ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার হয়-HFO(Heavy furnace oil, diesel etc. বেজ লোড পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে, যে ধরনের পাওয়ার প্লান্টে দিনের অধিকাংশ সময়ে লোড কনস্ট্যান্ট থাকে। অপরদিকে পিক লোড পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে, মূলত পিক আওয়ারে যে সমস্ত পাওয়ার প্লান্ট গুলো চালু হয় অর্থাৎ যে সময়ে বিদ্যুতের দাম প্রচুর থাকে।
তথ্যসূত্র: পিজিসিবি, পিডিবি, পাওয়ার
(বিস্তারিত নিচের ভিডিওতে)