276220

আঙুল ফোটালে বা টানলে তৈরি নিম্নচাপ !

শুনতে অবাক লাগছে? কি বলে বিজ্ঞান আঙুল ফোটানো সর্ম্পকে? আঙুল ফোটানো কি ভালো না খারাপ? আমাদের শরীরের অস্থি সন্ধিতে কিছু জায়গা খালি থাকে। এ জায়গাগুলো ভর্তি থাকে তরল অস্থি মজ্জা দিয়ে। সূএ : প্রথম আলো।

এতোদিন ভাবা হতো আঙুল ফোটানোর সময় অস্থির মাঝে ফাঁক বেড়ে যায় ফলে বুদবুদ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ সেখানে বাতাস থাকে আর তা বেড়িয়ে গেলেই পটপটাং শব্দের সূত্রপাত। তথ্যটা আসলে ভুল। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ইনিসটিটিউটের হাত এবং কব্জির চিফ অফ সার্জারির ডাক্তার পড্রো বেরেডিজিক্লিয়ান বলছেন আঙুল ফোটালে বা টানলে কিছু ফাঁকা জায়গা সৃষ্টি হয়, এতে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ। এবং সেখানে হাড়ের মজ্জা ঢুকে যায়।

হঠাৎ করে এভাবে তরল ঢোকার ফলেই শব্দ হয়। আসল প্রশ্নের জবাব কি? এভাবে আঙুল ফোটালে কি হাড়ের কোন ক্ষয় হয়। ডাক্তার বেরেডিজিক্লিয়ান বলছেন না আঙুল টানাটানি বা ফোটানোর সঙ্গে হাড়ক্ষয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তার দাবি আঙুল ফোটানোর অভ্যাস যদি ক্ষতিকরই হতো তাহলে এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন ই হতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই হাড়ে সমস্যা বা বাতের ব্যথার সাথে আঙুল ফোটানোর কোন সম্পর্ক নেই।

এতেও বিশ্বাস না হলে ড্রোনাল আংর্গাডের ঘটনাটি শুনুন। আংর্গাড যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একজন চিকিৎসক। ৬০ বছর ধরে তিনি নিজের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে বাম হাতের আঙুল ফুটিয়েছে কিন্তু ডান হাতের আঙুল একেবাড়েই ফোটায়নি।

[৫] এই দীর্ঘ দিনের পরীক্ষার ফল কি পেলেন? দুই হাতের কোন পার্থক্যই খুঁজে পাননি তিনি। এত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য ইজ নোবেল পুরষ্কারও উঠেছিল তার হতে। তবে সারাদিনের কর্মব্যস্ত হাতের আঙুলগুলো যদি ফোটাতে ইচ্ছা করে তাহলে পটপটাং শব্দ তুলতেই পারেন অনায়াসে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.