যে চলে যাওয়ার সে তো অজুহাত খুঁজবেই, বললেন সানাই
দেশের একসময়ের আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন। মাস দু-এক আগে অনেকটা গোপনেই আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। আপাতত সুখে সংসার করছেন সানাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে নিয়ে মাতামাতি করতে দেখে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ ঝেড়েছেন সানাই। তাকে নিয়ে কেন এত কৌতূহল, জানতে চান এই অভিনেত্রী। তিনি একাই কেন নেটিজেনদের টার্গেট, সেটি নিয়েও প্রশ্ন সানাইয়ের। তবে শত আলোচনা-সমালোচনা পাশ কাটিয়ে সুখী দাম্পত্য কাটাচ্ছেন সানাই-মুসা।
গত সোমবার (১ আগস্ট) স্বামীর সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সানাই লিখেছেন, ‘যে তোমাকে ভালোবাসার, সে বাসবেই। যে পাশে থাকার, সে থাকবেই; লাগুক না তার গায়ে পাহাড়সম কাদা। আর যে চলে যাওয়ার, সে তো অজুহাত খুঁজবে মাত্র। জীবনে চলার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় মন্ত্র।’
প্রসঙ্গত, সানাইয়ের অধিকাংশ কাজই সমালোচিত। একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা বিচরণ ছিল তার। অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীকে বিয়ে করছেন বলে আলোচনায় আসেন তিনি। যদিও পরে শোনা যায়, মন্ত্রী নয় এমপিকে বিয়ে করছেন। সে সময় তিনি এমপির পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। গত বছর অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন সানাই। তারপর থেকেই আর আলোচনায় নেই তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচল থাকলেও আগের মতো খোলামেলাভাবে আর দেখা যায় না তাকে।