জ্বালানি সংকট নিরসনে ভারত থেকে ন্যাপথা আমদানি করা হলো
চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ন্যাপথা আমদানি করা হয়েছে। ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশাল শীতলক্ষ্যা নদীর একোয়া রিফাইনারি লিমিটেড জেটিতে পৌঁছেছে ওটি সাংহাই নামে একটি কার্গো।
শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাম কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম, ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম, একোয়া রিফাইনারি লিমিটেটের ডিরেক্টর (অপারেশন) এরশাদ হোসেন, সাংহাই শিপের ওনার মাসুদুর রহমান, একোয়া রিফাইনারির ডিএমডি সাজেদুল সিরাজ, জিএম জাহাঙ্গীর আলম।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথম ১৯০০ মেট্রিক টন ন্যাপথা আমদানি করা হয়েছে, যা ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেলে রূপান্তরিত করা হবে।
এই ন্যাপথা পরিশোধনের পর ৮০ শতাংশ অকটেন, ৫ শতাংশ পেট্রোল ও ৭ শতাংশ কোরোসিন উৎপাদিত হবে; যা থেকে দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
একোয়া রিফাইনারি লিমিটেটের ডিরেক্টর (অপারেশন) এরশাদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে প্রতি মাসে আমরা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন ন্যাপথা আমদানি করব। এটি প্রক্রিয়াকাজাত করতে ৫ দিন সময় লাগে। ন্যাপথা পরিশোধন করার পর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মাধ্যমে সারা দেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। ভবিষ্যতে এই ন্যাপথা বাংলাদেশের ১০ শতাংশ অকটেনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। দ্রুত সময়ে পৌঁছার কারণে ও দামে কম হওয়ার কারণে এটি আমাদের জন্য সাশ্রয় হবে।
ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম বলেন, ভারতের হলদিয়া থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় ন্যাপথা খুব দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে যাবে। এটির প্রক্রিয়াজাত করতেও সময় কম লাগে। দ্রুত ন্যাপথা থেকে ফুয়েল উৎপাদন করে জ্বালানি সংকট দূর করা যাবে। ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে ন্যাপথা বাংলাদেশে আসবে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন মালামাল ভারত থেকে নিয়ে আসি। এই প্রথম ভারত থেকে ন্যাপথা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের যে ঘাটতি রয়েছে তার প্রধান কারণ হলো ফুয়েলের অপ্রতুলতা। দেশে ন্যাপথা আমদানির ফলে ফুয়েলের যে ঘাটতি তা কিছুটা পূরণ হবে। বছরে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ন্যাপথা আমদানির পরিকল্পনা করেছে সরকার।
