275890

জায়েদ খানের প্রশংসায় মৌসুমী, উত্তরে যা বললেন ওমর সানী

চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ঘিরে জায়েদ খানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।  এ নায়কের অভিযোগ, তার স্ত্রী মৌসুমীকে বিগত ৪ মাস ধরে জায়েদ খান ত্যক্ত-বিরক্ত করে আসছেন।  জায়েদ তাদের সংসারে ভাঙনের চেষ্টা করছেন।

যে কারণে গত ১০ জুন অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েপরবর্তী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে জায়েদকে চড় মারেন তিনি।  কিন্তু সেই চড়কাণ্ডের দুদিন পর মৌসুমী জানালেন উল্টো কথা।  এক অডিওবার্তায় দেওয়া মৌসুমীর বক্তব্যে উল্টো আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেলেন ওমর সানী।

স্বামী ওমর সানীর অভিযোগ নিয়ে কিছুটা মনক্ষুণ্ন মৌসুমী।  বলেন, এখানে জায়েদের খুব একটা দোষ আমি পাইনি।  আরেকটা কথা বলতে চাই— আমাকে ছোট করার মধ্যে আমাদের… যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি, সেই ওমর সানী ভাই কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন- সেটি আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।’ 

মৌসুমীর বার্তায় স্পষ্ট স্বামী ওমর সানির অভিযোগ মিথ্যা!  স্ত্রীর কাছ থেকে এমন বক্তব্য পেয়ে বিস্মিত ওমর সানী।  এ বিষয়ে এ চিত্রনায়ক জানালেন, মৌসুমীর বক্তব্য তিনি বুঝতে পারছেন না।  বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।

গণমাধ্যমকে ওমর সানী বলেন, ‘আমি যা বলেছি স্পষ্ট করেই বলেছি।  আমি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলতে চাই।  আমার পরিবারের প্রতি, মৌসুমীর প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আছে।  আমার ছেলেমেয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।  সে যা বলেছে, কি ভেবে বলেছে আমি জানি না।  এ বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরে একটু দূরত্ব তো চলছিল।  কিন্তু আপনারা ভালো জানবেন, ফোন রেকর্ড অনুযায়ী তার সাথে আমার ফোনেও কথা হচ্ছিল না।  আমি তার ব্যাপারে মন্দ কথা, খারাপ কথা কিছুই বলব না।  কারণ মৌসুমী এখনো আমার আমার স্ত্রী।’

ওমর সানী আরো বলেন, ‘মৌসুমী আমার সন্তানের মা।  সে একজন গর্জিয়াস নারী।  কোনো কারণেই তাকে আমি ব্লেইম দেব না। সে কী ভেবে কী কারণে কথাগুলো (অডিওবার্তা) বলেছে এটা একমাত্র সে আর তার আল্লাহ জানে।’

সানী আরো বলেন,  ‘একটা কথা বলতে চাই, আমি কি বলেছি না বলেছি সম্পূর্ণ আমার ছেলে ফারদিন, আমার মেয়ে ফাইজা জানে।  আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আছে জায়েদ খান যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেছে।  ফারদিন বলুক আর ফাইজা বলুক তাদের মায়ের সম্পর্কে।  আমার ছেলেমেয়েরা কথা বলুক এ বিষয়গুলো নিয়ে।  তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। আমি কিছু বলতে চাই না।’

জায়েদকে চড় মারার বিষয়ে ওমর সানী বলেন, ‘আমার ছেলে বড় হয়েছে, তার স্ত্রী আছে। আমরা পাঁচজনের সংসার।  সমস্ত কিছু, জায়েদ খানের গাড়ির বিষয়ে আমাদের কাছে বেশ ভালো প্রমাণ আছে।  সেটা আমরা চাচ্ছিলাম না বলতে।  সব পরিবারেই দাম্পত্য কলহ অল্পস্বল্প থাকে।  আমরা চাচ্ছিলাম নিজেরা নিজেরা এটা মিট করতে।  সেদিন এটা এত এক্সট্রিমলি চলে গিয়েছিল আমি নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম।  অনেক বেশি রেগে গিয়েছিলাম।’

এর আগে সেই অডিওবার্তায় জায়েদ খানের প্রশংসা করে মৌসুমী বলেন, ‘আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি, ও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে।  আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা খুবই ভালো একটা সম্পর্ক।  সেখানে ও আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।  আর ওর মধ্যে গুণ ছাড়া এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে এমন কিছুই আমি দেখিনি।  তার পর বলব— ও অনেক ভালো ছেলে।  সে কখনই আমাকে অসম্মান করেনি।’

জায়েদের বিরুদ্ধে তাকে বিরক্ত করার অভিযোগ প্রসঙ্গে এ চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সে আমাকে বিরক্ত করছে-উত্ত্যক্ত করছে!  কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে? এই জিনিসটা আমার আসলে… জানি না এটা কেন হচ্ছে।  এটি যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা।  সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল।’

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.