274862

পলায়নরত মার্কিনিদের ধরে ধরে বেধক পেটাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা

তালেবানরা কাবুল দখলের পর সেখান থেকে সদলবলে পালানোর চেষ্টা করছেন মার্কিন নাগরিকরা।  আর পলায়নরত ওই মার্কিন নাগরিকদের তালেবানরা বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।  শুক্রবার পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে কংগ্রেস সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ তথ্য জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে নিউইয়র্ক পোস্ট।

ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন মার্কিন নাগরিকদের তালেবানের মারধরের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।  তবে কিভাবে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন সেনারা নিয়ে গেছে তিনি সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ব্রিফিংয়ের সময় তিনি আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ও নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তবে এই সময়ের ভেতরে সবাইকে ফেরত নেয়া সম্ভব হবে কিনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি অস্টিন।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্রিনকেন এবং সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি।

আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থার ভেতর দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের প্রত্যাহার করা হলো কেন- সে বিষয়ে জবাব দাবি করছিলেন মার্কিন আইন প্রণেতারা।  শুক্রবার ওই ব্রিফিংয়ে তাদের প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার সকালে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই মার্কিন সেনা ও নাগরিকদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে।  কিন্তু বিকেলে অস্টিন লয়েড ভিন্ন কথা বলেন।  এর মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ল।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে, কাবুলের পতনের পর মার্কিন নাগরিকদের রাতভর পিটিয়েছে তালেবান।  আমেরিকা প্রাবাসী আফগান নারী সাংবাদিক সাশা ইংবার তার টুইটার অ্যাকাউন্টেও একই কথা বলেছেন।

এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবানি শাসনামলে আফগানিস্তানে নারীদের মুখ, চুলসহ সম্পূর্ণ দেহ ঢাকা বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল।  মেয়েদের বয়স ১০ বছরের বেশি হলেই স্কুলে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ।  শরিয়া আইনের নামে তারা চালু করেছিল দোররা ও পাথর ছুড়ে হত্যার মতো ভয়ঙ্কর সব শাস্তি।

২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী তালেবানকে উৎখাত করেছিল আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত করার জন্য।  কিন্তু দুই দশকেও সেখানে শান্তি আসেনি।  সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট

পাঠকের মতামত

Comments are closed.