274685

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের স্রোতের ঢল

আগামীকাল রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টসসহ সকল শিল্পকারখানা খোলার খবরে কোরবানি ঈদে বাড়িতে আসা কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।  গণপরিবহন চলাচল না করায় শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে (শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট) মানুষের ঢল নেমেছে।  এইদিন ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করছে ঘাট এলাকায়।  তাদের অধিকাংশই পোশাকশ্রমিক।

শুধুমাত্র জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।  বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।  যাত্রীর চাপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।

এদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছানো ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাকশ্রমিকরা পরিবহন সঙ্কটে চরম বিপাকে পড়েছেন।  সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকার পথে আসছেন তারা।  ফলে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন জিয়াসমিন।  বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গার্মেন্টস খুলছে।  বাধ্য হয়েই ঢাকা যেতে হচ্ছে।  না গেলে তো চাকরি থাকবে না। রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে।’

খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী এক গার্মেন্টস শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ যাব।  শুনেছি কাল থেকে খুলবে গার্মেন্টস। ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আইছি।  এভাবে আর কত দিন বাড়িতে বইয়া থাকমু?  টাকাপয়সা যা ছিল তা সব শেষ। এ্যাহন কাজ ছাড়া উপায় নাই।

এদিকে যাত্রীদের চাপে ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।  ঘাট এলাকায় বর্তমানে এই নৌপথে ৩টি রো রো ও ৫টি কে-টাইপের ফেরি নিয়ে মোট ৮টি ফেরি চলাচল করছে।  ঘাট এলাকায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ম্যানেজার মোঃ সাফায়াত হোসেন আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন চাপ কম থাকলেও বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী চাপ অনেক বেশি।  বাংলাবাজার ঘাটে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়।  এরুটে সকাল থেকে ৮ টি ফেরি চলাচল করছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.