274498

অনিয়মিত ঋ’তুস্রাব ও অসহ্য য’ন্ত্রণা থেকে মুক্তির সহজ সমাধান

যেকোনো বয়সের মহিলাদের মধ্যেই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা হয়ে থাকে।  এসব কারণে সন্তান ধারণে সমস্যাসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে মহিলাদের।

মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন বা এর আগে-পরে অসংখ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে মহিলাদের।  অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোমর ও পেট ব্যথা হয়ে থাকে। আর এই ব্যথা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।  আবার কারও ক্ষেত্রে ব্রেস্টে ব্যথা, কারও বমি হয়ে থাকে।  আবার অনেকে খাবার খেতে পারেন না।  এসব তো স্বাভাবিক ঘটনা।  প্রকৃত অর্থে পিরিয়ড চলাকালীন বা আগে-পরে মহিলাদের শরীরে হরমোনের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে।

দেশে এখনো পিরিয়ড নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে।  সদ্য কিশোরী যখন এই সময়ে অবস্থান করে তখন তার কাছে এর সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুবই কম থাকে। ঋতুস্রাবের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তলপেট আর কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।  এমনটা হলে কোনো মহিলা বা কিশোরীর সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার করা ঠিক নয়।  প্রয়োজনে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে এটা ঠিক যে, প্রবাহ যদি কম থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায়েই ব্যথা রোধ করা সম্ভব।

পেঁপে : পিরিয়ডের প্রবাহ ঠিকঠাক রাখার জন্য পেঁপের কোনো তুলনা হয় না।  হোক তা কাঁচা কিংবা পাকা।  পেঁপে খাওয়ার ফলে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।  সেই সঙ্গে অবাঞ্ছিত রক্ত এবং ক্লড বের করে দিয়ে তলপেট ও কোমরকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে।  গর্ভাশয়ের পেশী সচল করে রক্তপ্রবাহকে স্বাভাবিক করে কাঁচা পেঁপে।  ঋতুস্রাবের দিকে এগিয়ে থাকা মহিলার নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস খাওয়া উচিত।  এতে পিরিয়ডের সময় সুবিধা পাবেন। পাকা পেঁপেও পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।  তবে মা হওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে পাকা পেঁপে খাওয়া বন্ধ করা উচিত।  গর্ভপাত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।

হলুদ : এটি অ্যান্টিসেপ্টিক বা পেটের সমস্যা ছাড়াও পিরিয়ডের ফ্লো স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।  হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য হলুদ সহায়তা করে।  এতে পিরিয়ডের যন্ত্রণা কম হয়।  প্রতিদিন গরম দুধে আধা চামচ হলুদ এবং সামান্য মধু বা গুড় মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন।  উপকার পাবেন।

আদা : হলুদের মতোই অনেক উপকারী এই আদা।  এক চা চামচ আদা ৫/৭ মিনিট সিদ্ধ করে সামান্য চিনি মিশিয়ে দুপুরে খাওয়ার পর দিনে কমপক্ষে একবার পান করুন।  নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে পিরিয়ডের চক্র স্বাভাবিক হয়ে থাকে।

জিরা : প্রাকৃতিক এই উপাদানের গুণের তুলনা হয় না।  ভেষজ এই উপাদানের পানি খাওয়ার ফলে পিরিয়ডের অনিয়মিত প্রবাহের সমস্যা দূর হয়।  এক কাপ পানিতে দুই চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

দারচিনি : অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা রোধে দারচিনির বিকল্প নেই।  গরম দুধে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ার ফলে পিরিয়ডের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে বিশেষ সহায়তা করে। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.