272755

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩২তম ম্যাচেও জয় অধরা রয়ে গেলো বাংলাদেশের

এ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ফরম্যাট মিলে ৩২টি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।  জয়ের খুদা নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফর করলেও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে টাইগারদের।

বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাধায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয় দুই ঘণ্টা।  খেলা শুরু হলেও ম্যাচ নেমে আসে দশ ওভারে।  পাওয়ার-প্লে হয়ে যায় ৩ ওভারের। এমন কিছুর সঙ্গে অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টির সপ্তম অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখান লিটন দাস।  অভিষেকে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বাদ পড়েন চোটে পড়ে।

ব্যাটিংয়ে নেমে কিউই দুই ওপেনারের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হতে হয়েছে টাইগার বোলারদের।  নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটিই তোলে ৫.৪ ওভারে ৮৫ রান। মার্টিন গাপটিলকে ৪৪ (১৯) রানে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান।

গাপটিল ফিরলেও আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন তুলে নেন ১৮ বলে অর্ধশতক।  দলীয় একশ রান উঠে মাত্র ৬.৫ ওভারে। গাপটিলের পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগে গ্লেন ফিলিপসকে ১৪ (৬) রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

এই ম্যাচেও ফিল্ডারদের হাত ফসকে নিশ্চিত ক্যাচ পড়েছে গোটা চারেক।  বিধ্বংসী অ্যালেনের ক্যাচ ছেড়েসে আফিফ, মুসাদ্দেক ও শরিফুল। তিনবার জীবন পেয়ে ২৯ বলে ৭১ রানের এক বিধ্বংসী খেলেন ফিন অ্যালেন।

বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল (২১) ও মেহেদী (৩৪) ও তাসকিন (২৬)। এছাড়া ২ ওভার করে রুবেল ৩৩, নাসুম ২৯ রান।

লক্ষ্য টপকানোর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ব্যাটসম্যানরা মেতেছিল আশা-যাওয়ার খেলায়।  ওপেনিংয়ে দারুণ শুরুর পর জ্বলে উঠেও সাজঘরে ফিরতে হয় সৌম্যকে। ৪ বলে ১০ রান করে ক্যাচ দেন টিম সাউদির বলে।

অধিনায়ক লিটন সাজঘরে ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। নাজমুল হোসেন ৮ রান করেন।  ওপেনার নাঈম শেখ কেবল ১৩ বলে ১৯ রান করেন।

কদিন আগে আবুধাবি টি-টেন টুর্নামেন্ট খেলে আসা আফিফ হোসেন (৮) ও মোসাদ্দেক হোসেনও (১৩) হতাশ করেছেন ব্যাট হাতে।

কিউই বোলারদের তোপের মুখে গোটা দশ ওভারও খেলতে পারেনি টাইগাররা।  ৯.৩ ওভারে অল-আউট হয়েছে ৭৬ রানে।

কিউই স্পিনার টড অ্যাস্টল নিয়েছেন ১৩ রানে ৪ উইকেট।  এছাড়া টিম সাউদি নিয়েছেন ৩টি, অ্যাডাম মিলনে, গ্লেন ফিলিপস ও লকি ফার্গুসন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.