272685

শুকিয়ে যায়নি মঙ্গলের পানি, রয়েছে লাল গ্রহেই! চাঞ্চল্যকর দাবি নাসার

‘মহাকাশের লাল লণ্ঠন’ মঙ্গল গ্রহকে ঘিরে রহস্যের যেন শেষ নেই।  এতদিন জানা ছিল, কোটি কোটি বছর আগে লাল গ্রহে পানি থাকলেও পরে তা অন্তর্হিত হয়ে গিয়েছিল।  কিন্তু কোথায় উবে গিয়েছিল সেই ? অবশেষে মিলল এই প্রশ্নের উত্তর।  বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ থেকে ৯৯ শতাংশ জল এখনও মঙ্গলেই রয়েছে!  তবে তা রয়েছে মঙ্গল-পৃষ্ঠের নিচে।  তিনশো কোটি বছর আগে সেই পানি মাটির গভীরে চলে যায়।

সম্প্রতি ‘জার্নাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।  নাসার উদ্যোগে ওই গবেষণা করা হয়েছে।  গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ইভা স্কেলার জানিয়েছেন, ”মঙ্গলের হারানো পানি আমরা খুঁজে পেয়েছি তার পৃষ্ঠের গভীরে।  তিনশো কোটি বছর আগে ওই পানি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।  সেই থেকে মঙ্গল এক শুষ্ক গ্রহ।” কতটা পানি রয়েছে মঙ্গলে? তরল অবস্থায় ও মাটির নিচে ধাতুর সঙ্গে মিশে থাকা অবস্থায় মোট পানির পরিমাণ আটলান্টিক মহাসাগরের পানিরর অর্ধেক।

মঙ্গলে গবেষণার ক্ষেত্রে এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।  এতদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল, মঙ্গলে পানি থাকলেও তা দীর্ঘ সময় আগেই উবে গিয়েছিল।  এতদিনের সেই ধারণাই এবার ভেঙে গেল। কিন্তু কীভাবে জানা গেল এমন তথ্য? আসলে কতটা পরিমাণ পানি মাটিতে মিশেছে এবং কতটা মহাকাশে মিলিয়ে গিয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন ইভা।  তাঁর কথায়, ”মোট তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।

অগ্ন্যুৎপাতের সময় পাওয়া জলীয় উপাদান, মহাকাশে মিলিয়ে যাওয়া পানি ও মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া পানি।  এই মডেল অনুসরণ করে এবং আমাদের কাছে থাকা হাইড্রোজেন আইসোটোপ ডেটা সেটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে কতটা পানি হারিয়ে গিয়েছে ও কতটা পানি মাটিতে মিশেছে তা হিসেব করে বের করে ফেরা সম্ভব।”

কিন্তু এই পানির কি কোনও ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটানো যাবে।  তেমন আশা অবশ্য দেখছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, মহাকাশচারীরা মঙ্গলের মাটিতে নামলে সেখানকার ধাতুর সঙ্গে মিশে থাকা পানিকে নিষ্কাশন করে তাকে কাজে লাগাবে, এমন সম্ভাবনা কম।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.