272573

এবার মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা-রামায়ণ, নতুন শিক্ষানীতিতে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার!

এবার ১০০টি মাদ্রাসায় পড়ানো হবে ভাগবত গীতা ও রামায়ণ।  “ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং”-এর (এনআইওস) অন্তর্গত মাদ্রাসাগুলিতে অন্তর্ভুক্ত হবে প্রাচীন ভারতীয় দর্শন এবং ঐতিহ্য নিয়ে পাঠ্যক্রম।

কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে খবর।  এনআইওস-এর চেয়ারম্যান সরোজ শর্মা জানিয়েছেন, আপাতত ১০০টি মাদ্রাসায় তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে থাকছে গীতা-রামায়ণ।  ভবিষ্যতে ৫০০টি মাদ্রাসায় চালু হবে এই বিষয়ে পাঠদান।  বর্তমানে ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা’র উপর ১৫টি কোর্স তৈরি করা হয়েছে।  এতে বেদ, যোগ, বিজ্ঞান, রামায়ণ ও মহাভারতের মতো মহাকাব্যের বিষয়ে পাঠ থাকবে।  প্রসঙ্গত, ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং’ একটি স্বয়ংশাসিত প্রতিষ্ঠান।  যদিও শিক্ষামন্ত্রকের অধীনস্থ এনআইওস।  মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে এই পাঠ্যক্রম উন্মোচন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রায় ৩৪ বছর পর বদল আসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ।  প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা হল এই নয়া নীতিতে।  এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের তরফে এই পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়।  নতুন নীতিতে শিক্ষার অধিকারের আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের ছাত্র-ছাত্রীদের।  পাশাপাশি পরিবর্তন করা হয়েছে পরীক্ষা ব্যবস্থায়।  এমনকী আমূল বদলে গিয়েছে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও।  মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হয়েছে শিক্ষামন্ত্রক।  স্বাধীনতার পর থেকে এই নামেই পরিচিত ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।  নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা।  এই পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের মুখস্থ বিদ্যার বদলে হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে। প্রতিবছরের বদলে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।  দশম শ্রেণির পর কলা বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ বা বাণিজ্য বিভাগের তফাৎ উঠে যাচ্ছে।  পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়লেও, পাঠ্যক্রমে থাকতে পারে সংগীত।  পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা।  যদিও বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নতুন নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে কেন্দ্র।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.