272079

মাদক মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিরুল ইসলামের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বিচারের এই আদেশ দেন।

এর আগে আসামি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি করেন। এসময় দুই আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এ মামলা থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকের পাতা, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব।

বিদেশী মদ জব্দের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা দায়ের করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত বছরের ৪ আগস্ট দুদক ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। গত বছরের ২৯ নভেম্বর জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন পুলিশ। এ মামলার অভিযোগপত্রে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাত্র ৯ কর্মদিবসে বিচার কাজ শেষে গত বছরের ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনের শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড রায় দেন আদালত। এ মামলায় গত বছরের ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এরপর মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.