271815

বিরাট-আনুশকার সেলিব্রেশনে যোগ দিলেন যারা

দর্শকপ্রিয় জুটি বিরাট-আনুশকা। খুব শিগগিরই তাদের ঘর আলো করতে আসছে ছোট্ট শিশু। তাইতো তাদের জীবন এখন খুশিতে ভরপুর। এই আনন্দ দিগুণ করতে নতুন বছরের প্রথম দিনেও একরাশ খুশির জোয়ারে ভাসলেন বিরাট-আনুশকা। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। চলতি মাসেই ভূমিষ্ঠ হবে বিরাট কোহলি ও অনুশকা শর্মার প্রথম সন্তান।

নতুন বছরের প্রথম দিন আনন্দপ্রিয় মানুষদের সঙ্গেই ভাগ করে নিলেন এই জুটি। নিজেদের নতুন বছর উদযাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এনেছেন বিরাট। টিম ইন্ডিয়ার অপর সদস্য হার্দিক পান্ডিয়া ও তার স্ত্রী নাতাশ স্ট্যানকোভিচ এবং আরও কয়েকজন বন্ধু এই সেলিব্রেশনে যোগ দিয়েছিল।

খাবার টেবিলে বসে থাকা অবস্থার একটি গ্রুপ ছবি পোস্ট করে বিরাট লেখেন– ‌‘যেসব বন্ধুর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ, তাদের সঙ্গে কিছু পজিটিভ সময় কাটানো একসঙ্গে! সুরক্ষিত পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, হইহুল্লোড়ের চেয়ে বেশি আর কিছু চাই না। আশা করি এই বছরটা অনেক আশা, আনন্দ, খুশি ও সুস্বাস্থ্য বয়ে আনুক। সুরক্ষিত থাকুন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

এদিন কালো প্রিন্টেট শর্ট ড্রেসে ভারী মিষ্টি লাগল অনুশকাকে। নায়িকার চোখেমুখে মাতৃত্বকালীন আভা জ্বলজ্বল করছে। অন্যদিকে হবু বাবা বিরাট কালো রঙের শার্ট ও প্যান্টে সেজেছিলেন।

হার্দিক পান্ডিয়াও নিজে ইনস্টাগ্রামের দেয়ালে গ্রুপ ছবিটি শেয়ার করে লেখেন- ‘নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডা। সবার সময়মতো পরীক্ষা করা হয়েছে (করোনা) এবং সকলে সুরক্ষিত। নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা’।

অন্যদিকে হার্দিক পত্নী তথা সার্বিয়ান মডেল-অভিনেত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচ স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন। বিরাট-আনুশকার বাড়িতেই পোজ দিতে দেখা গেলো দুজনকে। কালো শর্ট গাউনে নজরকাড়া নাতাশা। গত বছরের প্রথম দিন নাতাশার সঙ্গে বাগদান সেরেছিলেন হার্দিক। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পাঁচ মাসের ফুটফুটে অগস্ত্যর বাবা-মা তারা। চলতি বছর জুলাইতেই জন্ম হয় এই জুটির প্রথম সন্তানের।

অস্ট্রেলিয়া সফর মাঝপথে ফেলে গত মাসেই দেশে ফেরেন বিরাট। আপতত পিতৃত্বকালীন ছুটিতে তিনি। সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। সন্তানকে কীভাবে লালন-পালন করবেন, সেই পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন জুটি। ভোগ ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আনুশকার সাফ কথা, ‘আমি প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা নিয়ে বড় হয়েছি। সেটাই আমাদের বাড়িতেও বজায় থাকবে। ভালোবাসাই হবে সম্পর্কের বন্ধন। বাচ্চা যেন সবাইকে সম্মান করে, সেই মূল্যবোধটা ওর মধ্যে গড়ে দিতে হবে। আমরা বিগড়ে যাওয়া সন্তান তৈরি করতে চাই না।’

পাঠকের মতামত

Comments are closed.