বিরল চতুষ্কোণ উল্কাবৃষ্টির দেখা মিলবে বছরের শুরুতেই
বিরল ধরনের চতুষ্কোণ উল্কাবৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে নতুন সালের শুরুতেই। নাসা জানিয়েছে, খুব শিগগিরিই বছরের শুরুতে এ বিরল ধরনের উল্কাবৃষ্টি হবে। ১৮২৫ সালে প্রথমবার উল্কা বৃষ্টি দেখা যায় সেই সময়ই প্রথম এই উল্কা বৃষ্টির আবিষ্কার হয়।
মেট্রোর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সাধারণত ধূমকেতুর কণা ও গ্রহাণুর ভাঙা অংশ এই ধরনের উল্কায় পরিণত হয়। যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সেটা প্রবেশ করে তখনই আগুন ধরে যায়। আর আকাশে উজ্জ্বল কণার মতো প্রতিফলিত হয়। আকাশে অনেকক্ষণ ধরে তা জ্বলতে দেখা যায়। যখন প্রথম বিজ্ঞানীরা উল্কাবৃষ্টি দেখেছিলেন তারা এর নাম দিয়েছিলেন ‘চতুষ্কোণ উল্কাবৃষ্টি’।
চতুষ্কোণ উল্কা আসলে কী! বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মূলত ধূমকেতুর কণা বা গ্রহাণুর অংশ থেকে তৈরি হয় এ ধরনের বিরল উল্কা। এগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যখন প্রবেশ করে তখন আগুন ধরে যায়, তখনই তা জ্বলে ওঠে। আর তাতেই দেখায় উজ্জ্বল।
কোথায় ও কখন দেখা যাবে?
বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের আকাশে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। উত্তর গোলার্ধের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। অর্থাৎ ভাগ্য ভাল থাকলে বাংলাদেশ-ভারতসহ ভারতীয় উপমহাদেশের আকাশেও এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।
সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে নাসা জানিয়েছে, ২০০টি উল্কাবৃষ্টি ভোরের আকাশে দেখা যাবে ২ থেকে ৩ জানুয়ারি। সেই সময় ৩০ মিনিট অন্ধকারে চোখ রাখলেই এই বিরল উল্কাবর্ষণ দেখা যাবে।