271281

শ্বাসনালিতে বাদাম ঢুকে প্রাণ হারাতে বসেছিল শিশুটি

একটি চীনাবাদামের জন্য প্রাণ হারাতে বসেছিল এক বছর তিন মাসের শিশু। বাঁচার জন্য আড়াইশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে। অবশেষ শ্বাসনালিতে আটকে থাকা ওই বাদাম বের করা হয়েছে।

ভারতের মুর্শিদাবাদের বাগডাঙার শিশুটির শ্বাসনালি থেকে বাদাম বার করেছে এসএসকেএমের ‘ইনস্টিটিউট অব ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি’র চিকিৎসকরা। বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) রাখা হয়েছে। দিন কয়েক পর্যবেক্ষণ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যখন আশিক সরদারকে নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে নীল হয়ে গিয়েছিল শিশুটির ছোট্ট শরীর। দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

এক্স-রে করে চীনাবাদামের অবস্থান বুঝে নিতে যেটুকু সময় লেগেছিল, তারপর আর অপেক্ষা করেননি তারা। ব্রঙ্কোস্কোপি করে ফরসেপের সাহায্যে শিশুর শ্বাসনালির ডান ও বাঁ ব্রঙ্কাস থেকে বের করে আনা হয় বাদাম।

২৫ মিনিটের ওই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে ছিলেন প্রফেসর-চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত। চিকিৎসক দলে ছিলেন সায়ন হাজরা ও দেবাশিস ঘোষ।

অরুণাভ বলেন, গলা দিয়ে টিউবের মাধ্যমে ব্রঙ্কোস্কোপ যন্ত্র ঢুকিয়ে ফরসেপের সাহায্যে ডান ও বাঁ দিকের ব্রঙ্কাস থেকে দুই টুকরা হয়ে যাওয়া বাদামটি বের করা হয়েছে। দু’টি ব্রঙ্কাসেই বাধা তৈরি হওয়ায় শিশুর শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা হু হু করে নামছিল। সেটি মারাত্মক ঝুঁকির।

চিকিৎসকরা জানান, শিশুদের শ্বাসনালিতে খাবার আটকানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বড়দের শ্বাসনালিতে আটকে যাওয়া জিনিস বের করার ব্যবস্থা প্রায় সর্বত্র রয়েছে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে যন্ত্র বলতে প্রয়োজন, মূলত পেডিয়াট্রিক ব্রঙ্কোস্কোপ ও ফরসেপ। যা দুর্লভও নয়। তবে ঝুঁকি বেশি থাকায় সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

পাঠকের মতামত

Comments are closed.