271111

‘পাগল’ তাই ১০ বছর ধরে এসআইয়ের জীবন কাটছে ফুটপাতে

এক দশক ধরে ভিক্ষুকের মতো পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এসআই মনীষ মিশ্র। পরিবার-পরিজন থেকেও যেন নেই। কেউ করুণা করলে খাবার জুটে, না হলে সারাদিন না খেয়েই কাটে তার।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ পুলিশের দক্ষ শ্যুটার ছিলেন মনীষ মিশ্র। কিন্তু ১০ বছর ধরে ঠিকানা তার ফুটপাত। মাথাভর্তি চুল, গালভর্তি না-কামানো দাড়ি। পথের ধূলিমাখা জীবনের সঙ্গী এরাই।

জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন পরই মনীষের জীবনে সবকিছু ওলট-পালট যায়। একসময় পুলিশের চাকরিটাও হারান। আর ‘পাগল’ বলে পরিবারও দূরে ঠেলে দেয়। কিন্তু তার পরিবারের দাবি, মনীষকে তারা ঘরে ধরে রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছিল ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে তা দেখার দায়িত্বে ছিলেন ডিএসপি রত্নেশ তোমর ও বিজয় ভাদোরিয়া। ফুটপাতে হঠাৎ তাদের নজর যায় এক ভিক্ষুকের দিকে। পরনের ভালো জ্যাকেটটি পুলিশ অফিসার বিজয় তার হাতে তুলে দেন। রত্নেশ সিং তোমর দেন একজোড়া নতুন জুতা। চলে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ওই ভিক্ষুক ভাদোরিয়ার নাম ধরে ডাকায় বিস্মিত হন তিনি। এগিয়ে যান ওই ভিক্ষুকের কাছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন তিনি মনীষ মিশ্র। এরপর আর তাকে চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি দুই পুলিশ অফিসারের।

১৯৯৯ সালের ব্যাচমেট তারা! মনীষকে তারা সঙ্গে করে নিতে চান। কিন্তু মনীষের তীব্র আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এক আশ্রমে। সেখানেই তার মানসিক চিকিত্সারও ব্যবস্থা করা হয়।

জানা গেছে, মনীষের বাবা ও চারা দুজনই অ্যাডিশনাল এসপি পদে থেকে অবসর নিয়েছেন। মনীষের ভাই থানার ওসি। তার বোন কাজ করেন দূতাবাসে। ডাটিয়া জেলায় শেষ পোস্টিং ছিল এসআই মনীষের। তারপরই মানসিক অসুস্থতা।

এই ১০ বছর ভোপালের একাধিক আশ্রম ও ভবঘুরে কেন্দ্রে তাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তিনি পালিয়ে যান।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.