271062

ভালবাসা যেদিন থাকবেনা, কাজ করবো না: সিয়াম

বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি। যুক্তরাজ্যে গিয়ে পড়েছেন আইন বিষয়ে। স্বাভাবিক নিয়মে চিন্তা করলে, তিনি একজন আইনজীবী হতেন। যাকে বলে বাবা-মায়ের আদর্শ সন্তান। কিন্তু না, জীবনের চাকা একেবারে স্বাভাবিক নিয়মে ঘোরাতে চাননি এই যুবক। আর তাই নামলেন অভিনয়ে, দেখালেন নিজের দক্ষতা। জিতলেন অগণিত মানুষের মন। ঢাকাই সিনেমায় বর্তমানে অন্যতম সম্ভাবনাময় অভিনেতা তিনি।

যাকে নিয়ে এতক্ষণ কথা হচ্ছিলো তার নামটা এবার বলাই যায়। হ্যাঁ, তিনি সিয়াম আহমেদ। ঢালিউডের এই প্রজন্মের নায়ক কিংবা অভিনেতা। যিনি এরইমধ্যে সিনেমায় সাফল্য পেয়েছেন, আর ছুটছেনও দারুণ গতিতে। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেতা এবার কথা বলেছেন ডেইলি বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। আর তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইসমাইল উদ্দীন সাকিব।

ডেইলি বাংলাদেশ: সিয়াম আহমেদের বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? 
-শিহাব শাহীনের ওয়েব সিরিজ ‘মরীচিকা’র কাজ প্রায় শেষ করলাম। অন্যদিকে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমার কাজও শেষ করেছি সম্প্রতি। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষায় আছি।

সিয়াম আহমেদ

সিয়াম আহমেদ

ডেইলি বাংলাদেশ: আপনার কিছু সিনেমা আটকে আছে, সেগুলোর কি খবর?
– সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। একজন অভিনেতা হিসেবে আমার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। বাকিটা প্রযোজকের উপর নির্ভর করে। উনারাই ভালো বলতে পারবেন। চলতি বছরের ঈদে আমার ‘শান’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সব সিনেমা হল খুললেও আগের মতো আমেজ ফিরে আসেনি। প্রযোজককে অবশ্যই তার লগ্নি অর্থ ফেরত পেতে হবে। তা না হলে আগামীতে তিনি আর সিনেমায় প্রযোজনা করবেন না। সবমিলিয়ে প্রযোজক যখন আদর্শ সময় মনে করবেন তখনই সিনেমা মুক্তি পাবে। এরপর বাকিটা নির্ভর করবে আমাদের দর্শকদের উপর। তাদের হলমুখী হতে হবে। তবেই সিনেমার আমেজ পুনরায় ফিরে আসবে।

ডেইলি বাংলাদেশ: ছোট পর্দায় এত জনপ্রিয়তা, বড় পর্দা কেন পারছে না সে জায়গায় পৌঁছাতে? 
– এটা দর্শকের বিষয়, দর্শকরাই এটি নিয়ে বলতে পারবেন। আমি কিংবা আপনি সেটা বলতে পারবো না। হয়তো দর্শকদেরকে সেভাবে কাজ উপহার দিতে পারিনি। তাই হয়তো হয়নি। আমাদের ঘাটতি আছে।

ডেইলি বাংলাদেশ: ওয়েব সিরিজ নিয়ে পরিচালক ও দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখেছেন। অভিনয় তো আপনাদেরই করতে হবে। এসব প্রতিক্রিয়া দেখে আপনার উপলব্ধি কি?
– নতুন কিছু হলে তার সঙ্গে অনেকেই মিল রাখতে পারে না। তাই সমালোচনা হয়, হচ্ছে এবং হবে। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে যদি নতুন গল্প বানানো হয় তাহলে তো সমস্যা নেই। আমি সবসময় নতুনকে স্বাগত জানায়।

সিয়াম আহমেদ

সিয়াম আহমেদ

ডেইলি বাংলাদেশ: পিছিয়ে থাকা বাংলা ইন্ডাস্ট্রি করোনার কারণে এখন আরো কতটা পেছাল? 
– দেশে সিনেমা হল এখন খুবই অল্প। তার উপর করোনার প্রভাবে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর টিকে থাকাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই শ্রমিক। শুধু পেশা এবং পরিচয়টা ভিন্ন। সিনেমা হল সবগুলোতে ভালো ভালো ছবি আসলে বোঝা যাবে। এটি কিভাবে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় সেটা দেখতে হবে। সিনেমার মূল শক্তি কিন্তু দর্শকরাই। দর্শকদের হলে ফিরতে হবে। সিনেমা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা যদি জীবিকার জন্য অর্থ না পায় তাহলে তারা আর এই পেশায় থাকবে না। সেদিন সিনেমা বানানোর মানুষ পাবেন কই? ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তবে সময় লাগবে একটু।

ডেইলি বাংলাদেশ: একজন অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের সমালোচনা কিভাবে দেখেন?
– খুবই প্রশংসা করি আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে। সমালোচনা খারাপ জিনিস নয়, এর মাধ্যমেও আরো ভালো করা যায়। আমি কাজের মধ্যে আমার সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করি। বিচার করার ক্ষমতা দর্শকের। তাদের সমালোচনা আমাকে আরো পরিণত করবে।

ডেইলি বাংলাদেশ: বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সিয়াম আহমেদের স্বপ্নটা কি? 
-নির্দিষ্ট কোনো স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি না। আমার সিনেমায় পথচলার শুরুটা বেশি সময়কাল ধরে নয়। তাই এখন ভালোবেসেই প্রতিটি কাজ করি। ভালোবাসা যেদিন থাকবে না ওদিন থেকে কাজও করবো না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.