270264

সন্তানের অহেতুক বায়না সামলাবেন যেভাবে

ছোট হোক বা বড়, ছেলেমেয়ের নানা সময় বায়না সামলাতে সব মা-বাবাকেই হিমশিম খেতে হয়। হয়তো সেটা মেটানোর এখন আপনার সম্ভব না। মাঝে মাঝে বকাঝকা করেন আবার আদর দিয়েও ভুলানো যায়।

তবে সন্তানদের বকাঝকা বেশি না করাই ভালো। কেননা এতে ছোট্ট শিশুটির মনে অভিমান জমে ওঠে। আবার অন্যদিকে আদর করে বায়নার জিনিসটা দিতেও দ্বিধা হয়। কারণ এতেও শিশুটি জেদি হয়ে যায়। শিশুর সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করলে এই দুটো ব্যাপারকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন জানেন কি?

চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে সন্তানদের বায়না সামলাতে পারবেন-

এখন বেশিরভাগ মা-বাবা দুজনেই চাকরি করেন। সন্তানকে সময় দিতে পারেননা। এই অপরাধবোধ থেকেই আপনার সন্তান  যখন যা চাচ্ছে, সেটা সঙ্গে সঙ্গেই দিচ্ছেন। সারাক্ষণ দামি জিনিস দিয়ে বাচ্চার অভাব পূরণের চেষ্টা করছেন। এমনটা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে কোনো আবদার পূরণ করবেন না। এতে করে তার আশা বাড়তে থাকবে।

ছোট থেকেই সন্তানের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ভালো অভ্যাস মানে শুধু ঠিক সময়ে খাওয়া আর ঘুমানো নয়। এর  বাইরেও অনেক ব্যাপার আছে। ধরুন আপনার সন্তান অন্য কারো সঙ্গে খেলছে। দুজনে মিলে খেলার সময় অন্যকে যেন নিজের খেলনা দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে করে অন্যদের সঙ্গে নিঃস্বার্থ মনোভাব তৈরি হবে।

ভাই বা বোনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেলনা বা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন। এভাবে ভাগ করে নেয়ার মানসিকতা বাচ্চার মধ্যে ধীরে ধীরে গড়ে তুলুন। এতে করে বিশেষ কিছু চাওয়ার প্রতি অন্যায় আবদার করার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে।

ছোটবেলায় অনেক শিশুরই বিশেষ কিছু জিনিস যেমন গাড়ি, এরোপ্লেন, ট্রেন বা পুতুলের প্রতি আকর্ষণ থাকে। শপিং মলে বা অন্য কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই জিনিসগুলো নেয়ার জন্য খুব বায়না করে। এই সময় অন্যদিকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। বোঝানোর চেষ্টা করুন এটা এখন নেয়া সম্ভব নয়। এগুলো পরেও নেয়া যাবে। তাকে এই সময়ে বাইরের কোনো কিছুতে জড়ানোর চেষ্টাও করতে পারেন।

ছুটির দিনগুলোতে সন্তানকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যান। তাহলে ঘোরা নিয়ে বাচ্চার আগ্রহ বাড়বে। এতে করে আগ্রহের ক্ষেত্রটা বাড়লে কোনো একটা জিনিস নিয়ে বায়না করার মনোভাব কমে যাবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.