269928

চাহিদা পূরণে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্য পণ্যের মজুদ রয়েছে

মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাল, গম, আলু, ডাল ও ভুট্টার মজুদ রয়েছে। বর্তমানে চালের যে মজুদ আছে তা দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
সোমবার জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারিকালে বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ ও বাণিজ্য’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান।

আলোচকরা জানান, গম, আলু, ভোজ্যতেল, ডাল, এবং ভুট্টার মজুদ দিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ধান কৃষকের ঘরে উঠবে। ফলে দেশে ধান-চাল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।

এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের বাজার ও বাণিজ্য নীতি উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বোরো ধানের উৎপাদন পূর্বের একই সময়ের চেয়ে ৬.৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। একই সময়ে গমের উৎপাদন হয়েছে ১.২৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর বাইরেও ৫.১ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে যা দিয়ে বাংলাদেশে গমের চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, চলতি মৌসুমে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১১ মিলিয়ন টন যা দিয়ে দেশের আরো ১১ মাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এছাড়া দেশে বর্তমান ভুট্টার যে মজুদ আছে ১০ মাস পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

ভোজ্যতেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মূলত ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর বিশাল পরিমাণ পাম অয়েল ও সয়াবিন আমদানি করতে হয়। ভোজ্য তেল আমদানির জন্য নিয়মিত এলসি খোলা হচ্ছে।

পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য দেন- মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার নাওকি মিনামিগওসি, মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের ন্যাশনাল পোভার্টি অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশান অ্যাডভাইজার অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল এবং এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন স্পেশালিস্ট ভাস্কর গোস্বামী প্রমুখ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.