269652

কুড়িয়ে পাওয়া হীরাকে কাচের টুকরা ভেবেছিলেন তিনি!

যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের ডায়ামন্ডস স্টেট পার্কটি একসময় হীরার খনি ছিল। এখন এই পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। দর্শনার্থী সেখানে ঘুরতে যান এবং হীরাখণ্ডের সন্ধান করেন।

সম্প্রতি কেএটিভি’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৭ সেপ্টেম্বর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে হীরা খুঁজতে যান কেভিন কিনার্ড। পেশায় ব্যাংকার কিনার্ড এর আগেও অনেকবার তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু কখনোই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি।

পার্ক কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কিনার্ডের কুড়িয়ে পাওয়া হীরা ৯ দশমিক ০৭ ক্যারেটের। এর আগে এই পার্কে ১৯৭৫ সালে সর্বোচ্চ ১৬ ক্যারেটের হীরা পাওয়া গিয়েছিল। শুকনো জায়গায় হীরার খণ্ডটি পাওয়া যায়। এই পার্কে সাধারণত দর্শনার্থীরা জলীয় এলাকায় পাথরের টুকরার সঙ্গে থাকা হীরা খোঁজ করে থাকেন। এ জন্য কিনার্ড জলছাঁকনিও কিনেছিলেন।

‘কিনার্ড ফ্রেন্ডশিপ ডায়মন্ড’

‘কিনার্ড ফ্রেন্ডশিপ ডায়মন্ড’

কিনার্ড বলেন, মার্বেল আকারের বাদামি রঙের চকচকে ওই খণ্ডটি তিনি কাচের টুকরার বেশি কিছু ভাবেননি। কিন্তু ফেলে না দিয়ে এমনিতেই ব্যাগে রেখে দেন। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি শেষে কোনো হীরা না পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে তারা পার্কের ফটকে আসেন। তখন নিজের কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসগুলো পরীক্ষার জন্য কিনার্ডের বান্ধবী পার্ক কর্মকর্তাদের দেখান। বান্ধবীর দেখাদেখি কিনার্ডও তার কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসগুলো দেখান। পার্ক কর্মকর্তারাই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিনার্ড বলেন, সাধারণত তিনি কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস কখনোই পার্কের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দেখাননি। কিন্তু এবার বান্ধবীর দেখাদেখি তিনিও দেখান। এরপর তাদের আলাদা একটি কক্ষে নেয়া হয়। এরপর এক কর্মকর্তা এসে তাকে এই সুখবর দেন।

কিনার্ড তার অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ওই কর্মকর্তা যখন বিষয়টি জানালেন, বিশ্বাস করুন, আবেগে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।

পার্ক কর্মকর্তা দ্রু এডমন্ডস বলেন, কিনার্ডের পাওয়া হীরার খণ্ডটি বেশ বড়। এটি গোলাকার, গাঢ় বাদামি রঙের। কিনার্ড এই হীরার নাম দিয়েছেন ‘কিনার্ড ফ্রেন্ডশিপ ডায়মন্ড’। তিনি হীরা সন্ধানীদের উদ্দেশে বলেন, যা কিছুই খুঁজে পান, তা পার্কের কর্মীদের দেখান।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.