269534

বান্ধবীর সন্তান অপহরণ করে প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূ

ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর তিন মাসের শিশুকে সোনাগাজী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী রোকসানা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার ভোরে উপজেলার সদর ইউপির চরখোয়াজ এলাকার রোকসানার প্রেমিক মো. জীবনের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশু মো. জুনাঈদ হোসেন ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর পানুয়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

অপহরণকারী রোকসানা ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউপির উত্তর চাঁদপুর গ্রামের শাহজাহানের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, ছাগলনাইয়া পৌর শহরের কলেজ রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন নিজাম উদ্দিনের পরিবার। কয়েক মাস আগে মুঠোফোনে নিজামের স্ত্রী জাহেদা আক্তারের সঙ্গে রোকসানার পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুইজনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এমনকি একে অপরের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।

শনিবার নিজাম উদ্দিনের বাসায় বেড়াতে যান রোকসানা। রোববার সকালে জাহেদা আক্তারের কাছ থেকে তার তিন মাস বয়সী সন্তান জুনাঈদ হোসেনকে ছাদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোকসানা পালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি শিশু ও রোকসানার।

জাহেদা আক্তার বলেন, সন্তানকে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে না পেয়ে রোকসানা আক্তারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় অপহরণ মামলা করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ছাগলনাইয়া পৌর শহর থেকে এক শিশুকে অপহরণের পর তার পরিবার থানায় মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরকারী রোকসানার মুঠোফোনের কললিস্ট বের করে পুলিশ।

তিনি বলেন, রোববার রাতে অ্যাডিশনাল এসপি (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. মাঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ভোরে উপজেলার সদর ইউপির চর খোয়াজ এলাকার পল্লী চিকিৎসক নুর নবীর বাড়ি থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরকারী রোকসানা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নুর নবীর ছেলে ও রোকসানার কথিত প্রেমিক মো. জীবন পালিয়ে যান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোকসানা জানান, অপরহণ করে শিশুটিকে নিয়ে তিনি জীবনের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.