269481

হাঁপানি কমাতে পারে এসব ভেষজ চা

যেকোনো বয়সের মানুষেরই হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বাচ্চাদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। হাঁপানি বা অ্যাজমা খুবই কষ্টদায়ক একটি অসুখ। এই রোগের ফলে দেখা দেয় তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা।

ওষুধের মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই হাঁপানি কমাতে ভেষজ চা খেতে পারেন। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাঁপানি থেকে স্বস্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে কিছু ভেষজ চা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভেষজ চা সাময়িকভাবে আপনাকে হাঁপানি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

তাহলে জেনে নিন কোন ভেষজ চা আপনাকে হাঁপানি থেকে স্বস্তি দিতে পারে-

গ্রিন টি 
ভাবছেন সব রোগের ক্ষেত্রেই কেন আপনাকে গ্রিন টির কথা শুরুতে দেখতে হয়। আসলে এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উদ্ভিজ্জ যৌগ। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি তে থাকা এপিগ্যালোকাটেকিন গ্যালেইট নামক উদ্ভিজ্জ যৌগ থাকে। এটি ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ক্যাফেইন হাঁপানি রোগ উপশম করতে পারে। এছাড়াও গ্রীন টিতে আছে ক্যান্সার রোধ ও ওজন কমানোর মত স্বাস্থ্য উপকারিতা।

যষ্টিমধুর চা

যষ্টিমধুর চা যষ্টিমধু গাছের মূল থেকে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, যষ্টিমধুর চা সাময়িকভাবে হাঁপানির লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন লক্ষণ বৃদ্ধি পেলে যষ্টিমধু কতটা কার্যকরী হবে তা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই চা আপনি খেতেই পারেন।

আদা চা

আদা চায়ের গুণের শেষ নেই। সর্দি কাশি বা ভাইরাল ফ্লু সবই আটকে দিতে পারে এই চা। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আদায় থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান হাঁপানি রোগীদের লক্ষণগুলো কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই হাঁপানির লক্ষণ দেখা দিলে খেতে পারেন আদার চা।

ইউক্যালিপটাস চা

ইউক্যালিপটাস গাছ ঔষধি গুণাগুণ এর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কিছু উদ্ভিজ্জ যৌগ রয়েছে, যা হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউক্যালিপটলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য হাঁপানির লক্ষণগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.