269471

কে হচ্ছেন হেফাজতের পরবর্তী আমির

আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর কে হচ্ছেন হেফাজতের আমির? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে হাজারো কৌতূহল ভিড় করছে আলেমদের মনে মনে।
কেউ বলছেন বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী কেউবা আবার বলছেন ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমি। এছাড়াও আলোচনায় আছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, জমিয়ত নেতা মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও ঢাকা কেন্দ্রিক ছিলো হেফাজতের সবচেয়ে বেশি সরব কার্যক্রম। তাই ঢাকার আলেম হিসেবে নূর হোসাইন কাসেমির নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি বারিধারা মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবেও আছেন।

সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী জানিয়েছেন, ‌হেফাজতে ইসলামের আমির কে হবেন সেটা তো আমি বলতে পারব না, এটা আল্লাহ তায়ালা জানেন। তবে আমরা চেষ্টা করব উনার (আল্লামা শফী) আদর্শ বাস্তবায়ন করার। সেটা হাটহাজারী মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলামের ব্যাপারেও। উনি হেফাজতের আমির ছিলেন। এখন কাউন্সিল হবে, কাউন্সিলে নির্ধারণ করা হবে কে হেফাজতে ইসলামের আমির হবেন।

এদিকে হাটহাজারী মাদরাসার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে বলেও জানান জুনায়েদ বাবুনগরী। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের সম্মেলন ডাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। হাটহাজারী মাদরাসায় মসজিদের মাইকে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এদিকে শনিবার আছর নামাজের পর সূরা কমিটির বৈঠকে তিনজনকে হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা হলেন মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী, আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহহিয়া। এই তিনজন প্যানেল পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।

একইসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও প্রধান শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাওলানা হাফেজ শোয়াইবকে সহকারী শিক্ষাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। ভাংচুরের ঘটনায় গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটিও।

আহমদ শফী বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতা ছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের আমিরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শুক্রবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহমদ শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। তাকে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠের পাশে অবস্থিত আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.