269293

রাতের আঁধার ঘুচতে বিদ্যুৎহীন আলোর খুঁটি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় রাতের আঁধার ঘুঁচতে বিদ্যুৎহীন আলোর খুঁটি স্থাপনে বেশ সাড়া ফেলেছে জনমনে। সৌর বিদ্যুৎ সংযুক্ত উচ্চ ক্ষমতার লাইট সম্বলিত খুঁটি।
সেন্সর যুক্ত থাকায় অন্ধকার ঘনিয়ে এলে চালু হওয়ার পাশাপাশি ভোরের আলোর সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এসব লাইট। শুধু তাই নয়, এসব খুঁটির কাছে মানুষ কিংবা যানবাহন কাছাকাছি নির্দিষ্ট দূরত্বে যাওয়া মাত্রই সেন্সরের কারণে লাইটের আলো বৃদ্ধি পায়।

৬টি ইউপি নিয়ে গঠিত ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা। শহর থেকে গ্রাম রাস্তার মোড়ে কিংবা নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী সর্বত্রই স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক শত শত এসব লাইট। এর সুফল পাচ্ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর ফলে চুরি, ডাকাতির মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এখন অনেকটা কমেছে।

পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা মো. সজিব মুন্সী বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা ঘাটে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ছিলো এক সময়ের নিত্যদিনের ঘটনা। এখন এ লাইট স্থাপন করায় অনেকটা কমে গেছে।

বটতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান বলেন, একটা সময় ছিলো কিছু কিছু এলাকার মানুষেরা সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হতো না জরুরি প্রয়োজন ছাড়া। একান্তই বাড়ির বাইরে যেতে হলে সঙ্গে নিতেন দুই এক জনকে। এখন আর তার প্রয়োজন হয় না । স্ট্রীট লাইট স্থাপনের ফলে মানুষ উপকৃত হয়েছে। তবে এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব লাইট স্থাপন করা প্রয়োজন।

ব্যাটারি চালিত রিকশা চালক মো. মাসুম খাঁন জানান, এসব লাইট স্থাপনের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারছেন।

ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, এসব লাইট স্থাপনের পর কাঁঠালিয়াবাসীর জীবন মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান বলেন, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অত্যাধুনিক এসব স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে এসব স্ট্রিট লাইট স্থাপন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় প্রায় ৮ শতাধিক লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.