268517

চন্দ্রযানের শৌচালয়ের নকশা করলেন মঙ্গলের জমির মালিক

২০২৪ সালে চন্দ্রযানে করে চাঁদে মানুষ পাঠানোই নাসার লক্ষ্য। যার পরের ধাপেই মঙ্গল। এই সব ক্ষেত্রে যানের ওজন যত কম হয়, ততই ভালো। আর তাই চন্দ্রযানের শৌচালয়ের সম্ভাব্য নকশার জন্য আবেদন করেছে নাসা। বিজ্ঞানী-গবেষকসহ সারা বিশ্বের উর্বর মস্তিষ্কের মানুষদের কাছে এ নকশা চেয়ে পাঠানো হয়।

‘লুনার লু চ্যালেঞ্জ’-এ সেই নকশা গৃহীত হলে নাসার ওয়েবসাইটে তার নাম তো উঠবেই। সেই সঙ্গে তিনি পাবেন যাবে ভারতীয় মুদ্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। আর তাই বিশ্ব জুড়ে কয়েক কোটি মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চন্দ্রযানের শৌচালয়ের নকশা বানিয়ে চলেছেন।

আর সে তালিকায় রয়েছেন ভারতের শ্রীরামপুরের যুবক শৌনক দাস। চন্দ্রযানের শৌচালয়ের সম্ভাব্য নকশা বানান তিনি। চাঁদে যেতে না পারলেও শৌনক চান, চন্দ্রযানে স্থান পাক তার তৈরি নকশায় গড়া শৌচালয়।

তবে নকশা করার বিষয়ে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে নাসা। নাসা জানিয়েছে, নকশা তৈরির সময় বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, চন্দ্রযানে মধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকবে না। ফলে পা সেই যানের মেঝেতে নাও পড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, এই ধরনের অভিযানে বায়ুর যে চাপ থাকে, তাতে নিম্নচাপের আধিক্য দেখা যায়। সেই জন্য ঘনঘন শৌচালয়ে যেতে হতে পারে তা মাথায় রাখতে হবে। তা ছাড়া থাকবেন মহিলা চন্দ্রাভিযাত্রীরা। শৌচালয়ের নকশা বানাতে হবে তাদের ঋতুকালের বিষয়টি মাথায় রেখে। অভিযানে ঘনঘন বমি হতে পারে ভাবতে হবে তাও।

শৌনক বলেন, শৌচালয়ের বর্জ্য কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সব চেয়ে বড় সমস্যা সেটাই। বেশি বর্জ্য জমতে দিলে মুশকিল। আকাশে তো সেগুলো ফেলা যাবে না।

উল্লেখ্য, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শৌনক মঙ্গলে এক একর জমিও কিনেছেন। জমির দলিল, মঙ্গলের ঠিক কোথায় তার জমি, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেপে সেই জায়গাটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে নাসা। এ বিষয়ে শৌনক বলেন, নিজে তো যেতে পারব না। তবু বলতে পারব, মঙ্গলে এক একর জমি আছে আমার।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.