268511

বারবার ফিরে এসে ভালোবাসার প্রতিদান দিচ্ছে পোষ মানা বক

পুরো ঘর জুড়ে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি বক। নিজের মত করে রান্নাঘরে বা খাবার টেবিলে বাটিতে রাখা পুঁটি মাছ খেয়ে নিচ্ছে। বাড়ির বড়-ছোট সকলের হাত থেকেও মাছ খাচ্ছে। খেলা করছে সবার সঙ্গে। মাছ খাওয়া শেষে আবার উড়ে যাচ্ছে গাছে।

শখ করে নানা রকম পশু পাখি পালন করে পোষ মানান অনেকে। এ তালিকায় বহু প্রাণীর নাম রয়েছে। তবে পোষ মানানোর তালিকায় বকের নাম আসবে তা হয়তো কেউ ভাবেনি।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার ঘটনা এটি। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কামাখ্যারঞ্জন ঘোষের বাড়িতে রয়েছে এই বক। বাড়িটির চারটি আম ও দুটি জামগাছে প্রায় চল্লিশ জোড়া বকের বাসা। প্রায় দেড়যুগ ধরে এই বাড়ির গাছে বাসা বানিয়ে অবস্থান করছে তারা। নিরাপদ বলেই এই পাখিরা এতদিন ধরে এই বাড়ির গাছে বাসা বানিয়ে অবস্থান করছে।

জানা গেছে, গত ২৭ জুন বাড়ির উঠোনে একটি বক ছটফট করছিলো। বাড়ির ছেলে দ্রুনাঞ্জন ও তার ভাইয়ের ছেলে প্রতীক্ষা বকটিকে তুলে ফ্রিজের বরফ দিয়ে সেবা করে। পরে গাছে তুলে দিতে চায় কিন্তু পাখিটির সেই শক্তি ছিল না। তারপর বাড়ির একটি ঘরে তাকে আশ্রয় দেয়া হয়।

কামাখ্যারঞ্জের পরিবার জানিয়েছে, বকটি প্রথম দিকে নিজে খেতে পারত না। খাইয়ে দেয়া হত। সপ্তাহখানেক পর থেকে নিজেই খেতে শুরু করে এবং বাড়ির মধ্যে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। এর পর গাছে তুলে দেয়া হলেও বকটি তাদের ঘরে ফিরে আসত। একদিন বকটি উড়ে গাছে ওঠে। তবে নিয়ম করে বকটি এখনো তাদের ঘরে ফিরে আসে। পুঁটি মাছ খেয়ে আবার চলে যায়।

পরিবারটি আরো জানিয়েছে, কিছু দিন আগে বকটি সঙ্গী পেয়েছে। বাড়ির অদূরে তিতাস নদী আর নদী এলাকার বিলে যায়। তবে দিনে কোনো এক সময় আসে। ফ্রিজে থাকা পুঁটি পানিতে ভিজিয়ে উপযোগী করে দিলে খেয়ে উড়ে যায়। বকটি উড়তে শিখলেও এক মাসের আশ্রয় ঘরটিকে ভুলছে না। এক-দুদিন পর হলেও দেখা করতে আসে। ভালবাসার মূল্য দিতে জানে ছোট্ট পাখিটিও।

পোষ মানা বকটির ভিডিও দেখতে <<এখানে>> ক্লিক করুন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.