268176

চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পারমাণবিক কেন্দ্র তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র

চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় সেসম্পর্কে ধারণার জন্য শুক্রবার বেসরকারি বিভিন্ন খাতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সরকার।
দ্য ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি জানায়, এটিকে ফিসন সারফেস পাওয়ার সিস্টেম বলে নাম দেয়া হয়েছে। মানুষ যাতে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে থেকে গবেষণা চালাতে পারে তাই তারা এটি গড়ে তুলতে চায় বলে জানানো হয়েছে।

চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে কিভাবে রিঅ্যাক্টর তৈরি করা যায় সে বিষয়ে কাজ করেছে মার্কিন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ইদাহো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি, এনার্জি ডিপার্টমেন্ট ও নাসা। সংস্থাগুলো মিলে সে বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। উন্নত রিঅ্যাক্টর তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে তারা। সেখানে এমন রিঅ্যাক্টর তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে, যা ঠান্ডা করার জন্য পানির প্রয়োজন হবে না।

শুক্রবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দ্য ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি জানিয়েছে, ‘ক্ষুদ্র পারমাণবিক চুল্লিগুলি ফেডারেল সরকারকে স্বার্থান্বেষী মহাকাশ অনুসন্ধান মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ক্ষমতা সরবরাহ করতে পারে,’ জ্বালানি বিভাগ ।

ইদাহো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি, এনার্জি ডিপার্টমেন্ট ও নাসা এই কর্মসূচি নিয়ে আগামী আগস্ট মাসে একটি সরকারি-শিল্পের ওয়েবকাস্ট প্রযুক্তিগত সভা করার পরিকল্পনা করেছে।

পরিকল্পনাটি দুটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে পরমাণু রিঅ্যাক্টরের ডিজাইন করা। দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি টেস্ট রিঅ্যাক্টর বা চুল্লি তৈরি করা। দ্বিতীয় চুল্লিটি মহাকাশযানে করে চাঁদে পাঠানো হবে। মহাকাশযানটির ল্যান্ডার ওই পরমাণু চুল্লিটি চাঁদে বয়ে নিয়ে গিয়ে স্থাপন করে আসবে। একইভাবে মঙ্গলগ্রহেও পরমাণু চুল্লি স্থাপন করা হবে।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৬ সালের মধ্যে একটি পরমাণু চুল্লি, মহাকাশ যান ও ল্যান্ডার চাঁদে পৌঁছে দেয়া। অন্তত ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন করতে পারবে এমন রিঅ্যাক্টর তৈরি করে চাঁদে পাঠানো হবে।

মার্কিন জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, চুল্লিটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অনুসন্ধানকে সমর্থন করার জন্য করা হবে। তবে অনুসন্ধানের জন্য মার্শিয়ান পৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চল এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা হয়নি।

সূত্র- দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.