267613

বাচ্চার গলায় কিছু আটকে গেলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন

অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা এমন কিছু মুখে দিয়ে ফেলে যা তাদের গলায় আটকে যায়। তা হতে পারে ছোট কিংবা বড় শিশুদের ক্ষেত্রেও। খেলতে খেলতেই বাচ্চারা মার্বেল, কয়েন ইত্যাদি মুখে দিয়ে দেয়, যা অসাবধানতার কারণে গলায় যেয়ে আটকে যায়। তখনই হয় বিপদ!

এই অবস্থা সামাল দিতে আপনার উপকারে আসে এমন কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখা খুব জরুরি। যা আপনাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করবে। দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বাচ্চার গলায় কিছু আটকে গেলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন-

বাচ্চা একদম ছোট্ট বা ২ থেকে ৩ বছর বয়স হলে করণীয় 

> বাচ্চাকে উল্টে নিজের বাম হাতের ওপর শোয়ান। পিঠের দিকটা একটু উঁচু হয়ে থাকবে এবং মুখের দিকটা নিচে। এবার আপনার ডান হাতের তালু দিয়ে বাচ্চার পিঠের ওপরের অংশে কাঁধের কাছে আস্তে আস্তে চাপড় মারুন। এতে মুখ দিয়ে গলায় আটকে যাওয়া খাবার বেরিয়ে আসবে।

> আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে, বাচ্চাকে সোজা করে অর্থাৎ চিত করে শুইয়ে দিন। বাচ্চার বুকের মাঝখান থেকে মালিশ করুন নিচ থেকে ওপর দিকে। অর্থাৎ মালিশের পদ্ধতি হবে বুক থেকে মুখের দিকে। এর ফলে, বাচ্চার ওপরের অংশে একটা চাপ সৃষ্টি হবে। এটা করার পরেই আগের পদ্ধতিতে বাচ্চাকে হাতের ওপর উল্টে নিয়ে পিঠে চাপড় দিন। বাচ্চার মুখ দিয়ে খাবারের টুকরো বেরিয়ে আসতে পারে।

> একদম ছোট্ট বাচ্চার ওপরে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন তাৎক্ষনিক মোকাবিলায়। ৩ থেকে ৪ বার চাপড় দিলেও যদি খাবার না আসে বা বাচ্চা না কাঁদে, তবে ডাক্তারের কাছে যান সঙ্গে সঙ্গেই।

একটু বড় বাচ্চার ক্ষেত্রে করণীয় 

> যদি গলায় মাছের কাঁটা আটকে যায় সেক্ষেত্রে শুকনো ভাত, মুড়ি বা চটকানো পাকা কলা একটু গিলে ফেলতে বলুন। কাঁটা নেমে যাবে। ৩ বা ৪ বারেই নেমে যাবে মাছের কাঁটা।

> হালকা গরম পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে বাচ্চাকে গিলে নিতে বলুন। এতে কাঁটা নরম হয়ে গলে নেমে যায়।

> বাচ্চা মার্বেল, কয়েন জাতীয় কিছু গিলে ফেললে ওর পিঠে জোরে জোরে চাপড় দিন। এর ফলে কাশি উঠে গলায় আটকে থাকা জিনিস বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।

> হতে পারে বাচ্চা পেনের ঢাকনা গিলে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে ঢাকনার ওপর দিকটা হয়তো আপনি দেখতে পেলেন। অত্যন্ত সাবধান হয়ে আস্তে করে সেটা বার করে নিন। যদি দেখতে না পান, খবরদার খোঁচাখুঁচি করবেন না, হয়তো বেরিয়ে আসার বদলে আরো ভেতরে চলে গেলো!

> আরেকটি পদ্ধতি যা কেবল বড় শিশুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাচ্চার পেছনে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ুন। এবার পিছনদিক দিয়ে ওর বগলের তলা দিয়ে আপনার দুই হাত ঢুকিয়ে সামনে নিয়ে আসুন। ওর পেটের ওপরের দিকে, যেখানে পাঁজর শেষ হয়েছে সেখানে আপনার দুই হাত রাখুন। এবার নিজের একহাত মুঠো করে নিন এবং অন্যহাত দিয়ে মুঠো হাতের কবজিটা চেপে ধরুন। বাচ্চার পেটে ৪ বা ৫ বার জোরে চাপ দিন। এতে কাজ না হলে সত্বর ডাক্তারের কাছে যান।

> বিপদ এড়াতে শিখে রাখুন মাউথ টু মাউথ ব্রিদিং পদ্ধতি। এতে বাচ্চার শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.