267526

৯৯৯-এ কল, ট্রেন থামিয়ে হাসপাতালে নেয়া হলো অন্তঃসত্ত্বাকে

স্বামী নাছির মোল্লার সঙ্গে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে করে নওগাঁর পথে রওনা দিয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা কামরুন্নাহার। পথে হঠাৎ প্রসবব্যথা শুরু হলে অবশেষে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন নাছির।
যাত্রাবিরতি না থাকলেও ট্রেনটিকে নাটোর রেলস্টেশনে থামতে বলা হয়। ট্রেন পৌঁছানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে দাঁড়ায় রেলস্টেশনে। ট্রেন আসামাত্র ওই প্রসূতিকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত আড়াইটার সময় ছেলে সন্তানের জন্ম দেন কামরুন্নাহার।

কামরুন্নাহারের স্বামী বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রোববার রাত নয়টায় তারা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে করে নওগাঁর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তার স্ত্রীর প্রসবব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে রক্তপাত। চিকিৎসার জন্য ট্রেনে চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায়নি। ট্রেনের একজন কর্মীকে দিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করান তিনি। তাকে জানানো হয়, ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে থামানো হলে তাদের জন্য সেখানে অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। তাদের সদর হাসপাতালে নেয়া হবে।

নাছির বলেন, ৯৯৯ নম্বরের সেবায় আমি মুগ্ধ। আমার বউ আর বাচ্চা এখন ভালো আছে।

নাটোর রেলস্টেশনের কর্মকর্তা অশোক চক্রবর্তী বলেন, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের নাটোরে যাত্রাবিরতি ছিল না। তাকে ফোন করে ট্রেনটি থামানোর বিষয়ে জানানো হয়। রাত ২টায় ট্রেনটি ওই অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। তাৎক্ষণিক তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

জাতীয় জরুরি সেবা কার্যক্রমের পরিচালক (অতিরিক্ত ডিআইজি) তবারক উল্লাহ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নিয়ে এক মা ও তার নবজাতক উপকৃত হওয়ায় তারা আনন্দিত।

নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনছারুল হক বলেন, ওই প্রসূতি মাকে সেবা দেয়ার জন্য ৯৯৯ নম্বর থেকে আগেই তাদের বলা হয়েছিল। তাই রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। মা ও নবজাতক ছেলে এখন ভালো আছে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.