267433

সাইকেলেই রোজ ২৪ কিমি যাতায়াত, বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় কিশোরী

লেখাপড়ার জন্য অনেকেই তো এদেশ থেকে অন্যদেশে ভালো ডিগ্রি আনতে যায়। তবে সে সাধ্য আর ইচ্ছের মিলিত প্রচেষ্টা। তবে ইচ্ছে থাকলে অনেকেরই আবার উপায়ও মেলে না! কারণ দারিদ্রতার কষাঘাতে অনেক শিশু চাইলেও তার শিক্ষাজীবন প্রাথমিকের পর আর টেনে নিতে পারে না।

তবে যে কথায় বলে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। কথা কিন্তু সত্যি, আর এ কারণেই তো শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এক কিশোরী রোজ ২৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যায় স্কুলে। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়! অবিশ্বাস্য হলেও এটিই বাস্তবতা।

ওই কিশোরী তার ইচ্ছেশক্তির জোরেই প্রতিদিন ২৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। এমনকি সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। নাম তার রোশনী ভদৌরিয়া। ১৫ বছরের এই কিশোরী ভারতের মধ্যপ্রদেশের মেয়ে। শনিবার প্রকাশিত রাজ্যের দশম শ্রেণির মেধাতালিকায় অষ্টম হয়েছে রোশনী।

ভিন্ড জেলার আজনোল গ্রামে রোশনীর বাড়ি। তার বাবা পুরুষোত্তম ভদৌরিয়া একজন কৃষক। তবুও মেয়ের পড়ালেখায় সবসময় সাহায্য করে এসেছেন কৃষক পিতা। মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা জানান, অষ্টম শ্রেণির পরে স্কুল বদলাতে হয়েছিল রোশনীকে। আশেপাশে ভালো কোনো স্কুল না থাকায় ১২ কিলোমিটার দূরে মেহগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সে।

স্কুল দূরে হওয়ায় প্রথমে একটু চিন্তায় পড়েছিলেন বাবা। তবে মেয়ের জেদের সামনে হার মেনেছে সে বাধাও। রোজ ২৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করত রোশনী। বাড়ি ফিরে আট থেকে নয় ঘণ্টা পড়াশোনা। আর তাতেই এসেছে সাফল্য।

রোশনীর কৃতিত্বে খুশিতে ফুটছে গোটা গ্রাম। হবে না-ই বা কেন? এর আগে এই গ্রামের কেউ পড়াশোনায় এত ভালো ফল করেনি। রোশনীর জন্য রাতারাতি নাম ছড়িয়েছে আজনোলের। বাবা বলছেন, এবার মেয়ের জন্য যাতায়াতের একটা পাকা ব্যবস্থা করতেই হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.