267469

কেমোথেরাপি থেকেও ১০ হাজার গুণ কার্যকর হিমশীতল লেবু

ক্যানসারের চিকিৎসা কেমোথেরাপি থেকেও ১০ হাজার গুণ বেশি কার্যকর ঠান্ডা লেবু। হিমশীতল লেবু যেমন খাবারে খেতে সুস্বাদু লাগে, তেমনই আবার শরীর সুস্থ এবং সবল রাখতে এর উপকারিতা রয়েছে।

লেবুটিকে ফ্রিজের বরফ তৈরির জায়গায় রাখুন। তারপর সেটি জমে বরফ হয়ে গেলে ছাড়িয়ে কেটে ফেলুন। এরপর সেই লেবুর অংশবিশেষ যে কোন খাবারের ওপর ছড়িয়ে দিন। খাবারের স্বাদ যা হবে, আপনি নিজেই মোহিত হবেন তাতে! তবে ঠান্ডা লেবু শরীরে গেলে কী ভাবে উপকারিত হবেন, তা জানা অত্যন্ত জরুরি।

লেবুর রসের থেকে লেবুর খোসায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন থাকে। আর আপনি সেই খোসাই ডাস্টবিনে ফেলে দেন! কিন্তু এই লেবুর খোসাই যদি খাবারে ছড়িয়ে দেন, তাহলে খাবারের গন্ধও যেমন দুর্দান্ত হবে তেমনই আবার আপনার শরীরেরও অনেক উপকার দেবে। আর হিমশীতল লেবুর খোসা হলে তো কোনও কথাই নেই! নিয়মিত ফ্রিজড বা হিমশীতল লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে সমস্ত রোগকে চিরকালের মতো বিদায় জানাতে পারবেন।

হিমশীতল লেবুর খোসা আপনার শরীরের ভিতর থেকে সমস্ত ক্ষতিকারক পদার্থগুলিকে বের করে দেয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হিমশীতল লেবুর খোসা ছাড়িয়ে খাওয়াটা কতটা স্বাস্থ্যকর। তাই রোজ লেবু ফ্রিজে রাখুন। পারলে ডিপ ফ্রিজে। যে কোনও ধরনের লেবু হতে পারে তা। গন্ধরাজ, পাতি লেবু থেকে শুরু করে একেবারে কমলালেবু, বাতাবিলেবু-সব ধরনের লেবুর খোসাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো পুনরুজ্জীবক হিসেবে কাজ করে।

​যেভাবে যত্ন করে লেবু ছাড়িয়ে খান, ঠিক সেই ভাবেই এবার থেকে যত্ন করুন লেবুর খোসারও। তার সঙ্গেই লেবু থেকে যে খোসা ফেলে দিচ্ছেন, সেগুলোকেও যত্ন করে ফ্রিজের ভিতরে রেখে দিন। কারণ ঠান্ডা লেবুর খোসা আপনার শরীরের ক্যানসারের কোষগুলোকে নষ্ট করতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে এমন কি ডাক্তাররাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির থেকেও অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী হিমশীতল লেবুর খোসা। লেবুর মধ্যে থাকে লিমোনয়েড যা আসলে ক্যানসারের কোষগুলোকে বাড়তে দেয় না। বিশেষ করে স্তন ক্যানসারের। আর এই লিমোনয়েডের জন্যই লেবু শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরে যো ক্যানসার কোষগুলো রয়েছে সেগুলোকে যেমন এই লিমোনয়েড ধ্বংস করে, তেমনই আবার ক্যানসারের বৃদ্ধি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। তবে গোটা লেবু চিবিয়ে খেলে এর গুণাগুণ পুরোপুরি পাওয়া যায় না। তাই জরুরি ফ্রিজে রেখে লেবু এবং তার খোসা খাওয়া। কারণ ফ্রিজে রাখতেই লেবুর খোসার তিক্ততা ভাব অনেকটা কেটে যায়। আর তাতেই তা ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করার কাজে আসে।

​একটি গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, লেবু আসলে, কোলন, স্তন, প্রোস্টেট, অগ্নাশয়, ফুসফুসসহ আরও ১২ রকমের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে পারে। এখানেই শেষ নয়। লেবু ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধেও খুব ভালো কাজ করে। আপনার ডায়াবিটিস চিরতরে সারিয়ে তুলতে পারে। বিভিন্ন পরজীবী এবং কৃমির ক্ষেত্রেও এটি খুব কার্যকরী। তার সঙ্গেই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। মানসিক অবসাদ দূরে সরিয়ে দিতে পারে। পারকিন্সন-এর মত অসুখও সারিয়ে তুলতে পারে। পাশাপাশিই পেটের সমস্যাও চিরতরে দূর করে দিতে পারে লেবু এবং লেবুর খোসা। লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড গলব্লাডারে স্টোন, কিডনি স্টোনকে নিমেষে গলিয়ে দিতে পারে।

​প্রথমেই ভালো করে লেবু ধুয়ে নিন। আর তারপরে সেই লেবুটিকে বেশ কিছুক্ষণ বেকিং সোডা বা অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে ভিজিয়ে নিন। তারপরে লেবুগুলো ছাড়িয়ে তার খোসা এমন কি বীজ সমতে আইস কিউবের পাত্রে পানিসহ রেখে দিন। এই ভাবে লেবু এবং লেবুর অন্যান্য জিনিসগুলো ফ্রিজড করুন। এবার ওই লেবু, লেবুর বীজ এবং খোসাসহ সেই আইস কিউবগুলো ব্যবহার করুন খাবারে। আইসক্রিম থেকে শুরু করে পাস্তা, স্যালাড, সস, স্যুপ সবেতেই ব্যবহার করতে পারেন আইস কিউবগুলো। এমনকী রোজ সকালে উঠে একটি আইস কিউবের মধ্যে পানি মিশিয়ে রোজ যদি সেই পানীয় পান করতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.