267178

ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট সেকশন অফ, তবে কি ভয় পেলেন রিয়া?

অভিনেতা সুশান্তের মৃত্যুর পর এখনও কোথাও মুখ খোলেননি রিয়া। আবার দুসপ্তাহ পর ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে কমেন্টস সেকশন মুছে দিলেন তিনি। রিয়ার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে বিহার আদালতও। তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট সেকশন ডিলিট করা মানেই সন্দেহ। এর ফলে কেউ তাকে আর কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না ইনস্টাগ্রামে।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কেটে গেল দুসপ্তাহ। কিন্তু এখনও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই সুশান্ত। সুশান্তের পর বলিউডে জোরদার হয়েছে নেপোটিজম বিতর্ক। সেই আঁচ এসে পড়েছে টলিউডেও। সুশান্তের মৃত্যু রহস্য নিয়ে চলছে জেরা পর্ব। এখনও পর্যন্ত ২৬ জনকে জেরা করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় আছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীও। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে কোথাও রিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোন ধরেননি। জবাব দেননি কোনো ট্যুইটের।

এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অনেকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তাকে। অবশেষে রিয়া তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট সেকশন ডিলিট করে দিলেন। এর ফলে কেউ তাকে আর কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না ইনস্টাগ্রামে। সুশান্তের মৃত্যুর পর নানারকম কটূক্তি ধেয়ে আসে রিয়ার দিকে। প্রচুর ট্রোল হতে হয় তাকে।

এমনকী বিহার আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সুশান্তকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রিয়ার দিকে। সেদিনের পর থেকে এই প্রথম কোনো বড় পদক্ষেপ নিলেন রিয়া। সুশান্তের মৃত্যুর পর ওঠা নেপোটিজম বিতর্কে মুখ খোলার পর সোনম কাপুরও বাধ্য হয়েছেন তার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কমেন্ট সেকশনটি মুছে দিতে।

পুলিশের কাছে টানা ৯ ঘন্টার জেরা পর্বের শেষে রিয়া জানিয়েছিলেন, তার আর সুশান্তের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু সেই ঝামেলার জন্য পুরোপুরি কথা বন্ধ হয়ে যায় এমনটা কখনও হয়নি। সুশান্ত প্রতিদিন রাতে তাকে নিয়ম করে ফোন করতেন। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি শেষ ফোন রিয়াকেই করেছিলেন। যদিও সেই ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

রিয়া আরও জানিয়েছেন,’৬ জুন সুশান্ত নিজেই তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এছাড়াও সুশান্ত ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তার চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন অভিনেতা। তখন কারোর কথাই শুনতেন না। রিয়া বলেছেন, আমাদের সম্পর্কে প্রথম থেকেই নানারকম সমস্যা লেগে থাকত। প্রতিটা ইস্যুতে সুশান্ত আমার সঙ্গে লড়াই করত।

ওর কোনো রকম সমস্যাও ভাগ করে নিত না। যখনই সমস্যা গুরুতর হত, তখন সুশান্ত একা থাকতে চাইত। প্রায়শই চলে যেত পাভনায় ওর ফার্ম হাউসে। আমাদের এই সম্পর্কের ছাপ ড়ছিল পেশাদার জীবনেও। ওর আর আমার ক্যরিয়ার প্রভাবিত হচ্ছিল। ক্যরিয়ার নিয়ে ওকে কোনো উপদেশ দিতে চাইলেও সুশান্ত শুনতে চাইত না’।

১৪ জুন নিজের ফ্ল্যাটেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্তকে। প্রাথমিক তদন্তের পর আত্মহত্যার অভিযোগ আসলেও তা মানতে নারাজ অনেকেই। শেখর সুমন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারা দাবি তুলেছেন সিবিআই তদন্তের। এমনকী মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ তারা। দোষীকে চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, এমনটাই চাইছেন সকলে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.