266713

ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকায় আমলকি!

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শরীরের দরকার পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়তে ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে অনেকেই ভিটিামিন সি এর উৎস হিসেবে বুকে বুঝে থাকি, কারণ এটি সহজলভ্য। তবে জানেন কি? লেবুর চেয়েও আরেকটি ছোট ও সহজলভ্য ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। সেটি হলো আমলকি।

আমলকির স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে সবাই কমবেশি জেনে থাকবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে আরো রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং সোডিয়াম। এসব উপাদান এই মৌসুমে শরীরকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে সর্দি-কাশিসহ ছোট-বড় বহু রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অন্তত একটি করে আমলকি খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগ যেমন- সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থেকে বাঁচা যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক আমলকির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-

গলার ব্যথা কমাতে

একে তো বর্ষাকাল তার উপরে করোনার আবহ, এই সময় অনেক মানুষই গলা ব্যথায় ভুগছেন! আবার করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিরাও এই সমস্যার সম্মুখীণ হচ্ছেন। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত এক গ্লাস আমলা রসে পরিমাণ মতো আদা এবং মধু মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথা তো কমেই। সেই সঙ্গে কফ এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে

এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আর গতি নেই! আমলকিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানও বের করে দেয়।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে

আমলকিতে থাকা ভিটামিন এ উপাপদান চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে চোখ থেকে জল পরা, চুলকানি এবং চোখ ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

হজমশক্তি বাড়ায়

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। যা হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধরনের পেটের রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে

ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে উন্নত করে। এতে কোনো জীবাণুই শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি মৌসুম বদলের সময় সর্দি-কাশির ভয়ও দূর হয়।

ডায়াবেটিসও কাছে ঘেঁষে না

আমলকিতে ক্রোমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না।

ক্যান্সার প্রতিরোধক 

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়। এতে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি ঠেকানো যায়।

যৌবন ধরে রাখা যায়

আমলকিতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-এজিং উপাদান শরীরের উপর বয়সের চাপ পরতেই দেয় না। তাই শরীরকে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি চনমনে রাখতে চান, তাহলে একদিনও আমলকি খেতে ভুলবেন না যেন!

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়

হার্টকে সুস্থ রোজ একটা করে আমলকি খাওয়া উচিত! কারণ এতে উপস্থিত একাধিক শক্তিশালী উপাদান, হার্টের আর্টারিকে আক্রমণ করা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও আর থাকে না।

সূত্র: হেলদিফাইমি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.