266396

এবার কম দামে করোনা ভ্যাকসিন আনার ঘোষণা

মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি রেফানার সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে মাঠে নামল ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার মতো এই সংস্থাও শুরু করলো করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতি।

রয়টার্স’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রায় ৫০টি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই সংস্থাটির পরিচালক রাজেশ জৈন। তবে দেশের সব মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে কম দামে তা বাজারে আনার পরিকল্পনা চলছে। মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফল হলেই আগামী বছরের শুরুতে প্রাথমিকভাবে চার কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসবে বলে জানায়। দেশের নামী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে প্যানাসিয়া বায়োটেক। দিল্লি ছাড়াও ভারতের আরও পাঁচটি রাজ্যে এই কোম্পানির রিসার্চ ইউনিট রয়েছে।

সংস্থাটি সার্স-কোভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে ইনঅ্যাক্টিভেটেড কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করছে। প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড পরিচালক রাজেশ জৈন বলেন, এই পদ্ধতিতে তৈরি ভ্যাকসিন অনেক নিরাপদ এবং রোগীর শরীরে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগে আমাদের সাহায্য করছে রেফানা। দুই কোম্পানির মিলিত প্রয়াসে আগামী বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন চলে আসবে ভারতের বাজারে। মার্কিন বায়োটেক কোম্পানির সাহায্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পৌঁছে দেয়া হবে এই ভ্যাকসিন।

ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন বানানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যানাসিয়া বায়োটেক। ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিনে ভাইরাসের সংক্রমক স্ট্রেনকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে শরীরে ইনজেক্ট করতে চায় এই কোম্পানি।

গবেষকরা জানান, সার্স-কোভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের সারফেস প্রোটিন বা স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তাকে পিউরিফাই করার পরেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। পিউরিফায়েড ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা নেই, তাই রোগীর শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারবে না। শরীরে ঢুকলে অ্যান্টিজেন হিসেবে কাজ করবে যার প্রতিরোধে দেহকোষে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.