266173

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও গত দুইদিনের টানা বর্ষণে ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে লাঘাটা, ক্ষিরনীসহ সবকটি পাহাড়ি ছড়ার পানিও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ১১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গত দুইদিন এবং বৃহস্পতিবার সকালে থেমে থেমে কয়েক দফা ভারী বর্ষণ হলেও রাতে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সময়ে উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কমলগঞ্জে বুধবার রাত থেকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে। একই সঙ্গে লাঘাটা, ক্ষিরনীছড়াসহ সবগুলো পাহাড়ি ছড়ার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধলাই নদীতে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউপি থেকে রহিমপুর ইউপি পর্যন্ত ধলাই নদীর ৫৫ কিলোমিটার এলাকায় ১১টি স্থানের প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। নদীতে আরো পানি বৃদ্ধি পেলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাঁধ ভেঙ্গে কমলগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকায় ২টি, রহিমপুরে ২টি, আদমপুরে ২টি, ইসলামপুরে ৩টি, মুন্সীবাজারে ২টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

কমলগঞ্জ ইউএনও আশেকুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে ধলাই রেল সেতু এলাকায় পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ইউএনও আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসন কমলগঞ্জের নদ-নদী ও পাহাড়ি ছড়ার দিকে সার্বিক নজরদারি রাখছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে দুপুর ১২টায় ধলাই নদীর পানি ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.