266151

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসি কত তাপমাত্রায় চালানো উচিত?

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সবাই তৎপর। ভয়ংকর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনার এই সময়ে প্রকৃতিতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও অনেকেই করোনা থেকে বাঁচতে বাড়িতে এসি থাকার পরও তা ব্যবহার করছেন না।
তবে এতে বিপদ আরো বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, প্রচণ্ড গরমে ঘেমে ঠাণ্ডা-কাশির মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। অন্যদিকে যেসব অফিস খোলা রয়েছে সেখানে এসি ছাড়া গরমে কাজ করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে অসুস্থতাও।

এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বাড়িতে বা অফিসে কত তাপমাত্রায় এসি চালানো উচিত, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। চলুন জেনে নেয়া যাক-

ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার ইঞ্জিনিয়ার্স এর একটি গাইডলাইন কেন্দ্রীয় সরকার শেয়ার করেছে। সেখানে বলা হয়েছে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংক্রমণ সবচেয়ে কম হয়। তাই এসি চালানোর ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের সরকার। তার মধ্যে অন্যতম হলো আবহাওয়া বিশ্লেষণ। এই বিশ্লেষক দলে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, ডিজাইনার, নির্মাতা, পরিষেবা প্রদানকারী, স্বাস্থ্য সুবিধা সম্পর্কিত ডিজাইন এবং অভ্যন্তরীণ বায়ু মানের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই সময়টাতে এসি চলাকালীন সময়ে জানালাগুলো কিছুটা খুলে রাখা উচিত এবং এডজাস্ট ফ্যান থাকলে ছেড়ে রাখা উচিত। জানালা-দরজা বন্ধ করে এসি চালালে ঘরের ভেতরে জীবাণু থাকলে তা বাইরে যেতে পারে না। এসি না চালালেও ঘরের জানালা সব খুলে রাখা উচিত, যেন বাতাস চলাচল করতে পারে।

শুষ্ক আবহাওয়ার ক্ষেত্রে আর্দ্রতা ৪০ শতাংশের নিচে কখনোই যেতে দেয়া উচিত নয়। আর্দ্রতা ৪০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি রেখে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

বাণিজ্যিক ও শিল্প ক্ষেত্রেও এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একই নিয়ম মানা উচিত। কোনো জায়গা পুরোপুরি বদ্ধ রাখা যাবে না। এডজাস্ট ফ্যান লাগানো উচিত। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ তাজা বাতাস ঢোকা উচিত।

লকডাউনের কারণে যেসব অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অনেক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, সেগুলো খোলার আগে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সেই গাইডলাইনে। কারণ বদ্ধ স্থানে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জমে থাকতে পারে। তাই প্রতিষ্ঠান খোলার আগে দরজা-জানালা খুলে এয়ার সার্কুলেশন ঠিক করে নিতে হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.