265911

পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে নতুন ইতিহাসের পথে

দুই দশকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রায় শেষ। এগিয়ে এসেছে যাত্রার সময়কাল। শেষ সময়ের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ৩০ মে শনিবার মাটি ছাড়বে ফ্যালকন-৯ রকেট। এর আগে কথা ছিল, ২৭ মে রকেটটি উৎক্ষেপণের আয়োজন করা হবে। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

এই অভিযানের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করবে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপোলো মিশনের পর দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন এটি। এই ইতিহাসের অংশ হতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং বেসরকারি মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এই প্রথম কোনো বেসরকারি বাণিজ্যিক রকেটে করে মহাকাশচারীকে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে যাচ্ছে নাসা।

মহাকাশ বিশ্লেষক লুইজি পেলুসো বলেন, বাণিজ্যিক মহাকাশযানে দুজন মানুষ মহাকাশে যাবে। এমন ঘটনা এবারই প্রথম। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হবে পৃথিবী। বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার তীব্রতার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। তাদের কেবল নিরাপদে সেখানে পৌঁছে দেয়ার বিষয় নয়, তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয় নিয়েও পর্যবেক্ষণ করতে হয়েছে।

ডগলাস হারলি এবং রবার্ট বেনকেন

ডগলাস হারলি এবং রবার্ট বেনকেন

যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে ২০১১ সালের পর প্রথম কোনো রকেট মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া স্পেসএক্স তাদের ১৮ বছরের ইতিহাসে নিজেদের তৈরি মনুষ্যবাহী রকেট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। রকেটে থাকছেন নাসার দুই মহাকাশচারী- ডগলাস হারলি এবং রবার্ট বেনকেন। এটি পৃথিবীর কক্ষপথ ঘুরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ডকিং করবে।

১৯৬১ সালের কক্ষপথে ইউরি গ্যাগরিনের ভ্রমণ কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রংগের ‘প্রথম ছোট্ট পদক্ষেপে’র বিবরণ। স্পেসএক্সের আগামী উৎক্ষেপণ সেই স্তরে না পৌঁছাতে পারলেও এটা প্রথম প্রদক্ষিণ হবে। যা ব্যাক্তিগত মহাকাশ যান নিয়ে মহাকাশচারী কক্ষপথে যাত্রা করবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.