265923

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ইমিউনিটির স্থায়িত্ব ছয় মাস: গবেষণা

নভেল করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি তৈরি হয় তার স্থায়িত্ব মাত্র ছয় মাস বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এই সময়ের পর সুস্থ হওয়া ব্যক্তি আবারো সংক্রামক ব্যাধিটিতে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক তাদের গবেষণায় এমন তথ্যই তুলে ধরেছেন বলে জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ১৩ গবেষকের দলটি ‘হিউম্যান করোনাভাইরাস রি-ইনফেকশন: লেসনস ফর সার্স-কোভ-২’ শীর্ষক তাদের গবেষণাটি সাইড মেড্রিক্সে তুলে ধরেছেন।

জেরুজালেম পোস্ট বলেছে, গবেষকরা ৩৫ বছর বয়সী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের দশটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা দেখেছেন সুস্থ হয়ে উঠা ব্যক্তিদের শরীরে করোনা প্রতিরোধী ব্যবস্থার স্থায়ীত্ব কম পাওয়া গেছে। আর ছয় মাস পর এর কার্যকারীরা যথেষ্ট হ্রাস পায় বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা।

নভেল করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ কিংবা ভ্যাকসনি আবিষ্কার না হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় একমাত্র উপায়। তবে মহামারীর সময়ে এবং পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

তবে ডাচ গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়াদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হলেও এটি দ্রুত হ্রাসের কারণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’ প্রদান এবং তাদের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি শিথিল করার যে চিন্তা করা হচ্ছে এই গবেষণার পর তেমন সিদ্ধান্ত নেয়াও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

এই গবেষণার ফলাফল সঠিক হলে নভেল করোনাভাইরাসের এককালীন ভ্যাকসিনের পরিবর্তে মৌসুমী ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.