265756

সজলের ১১ দিনে করোনা জয়ের গল্প

আইইডিসিআর-এর চিকিৎসক বলেছেন- ‘ভয়ের কিছু নেই। আপনার শরীরে এক নতুন ভাইরাস আসছে, একটু তো খেলা দেখাবেই। আপনিও ভাইরাসের সঙ্গে ওর মতোই আচরণ করেন।’ এ কথাই আমার শক্তি-মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ের গল্পটা এভাবেই শুরু করেন রাজধানীর নাজিরা বাজার লেনের তরুণ সাজ্জাদ হোসেন সজল।

২৪ এপ্রিল তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১১ দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন। ৪ মে সুস্থ হন তিনি।

ডেইলি বাংলাদেশকে ১১ দিনের করোনা যুদ্ধ ও জয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন সজল। তিনি বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাভাবিক খাবার আর ভিটামিন সি খেয়েছি, গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করেছি, ভাপ নিয়েছি, স্বাভাবিক ব্যায়াম করেছি, নিজের পোশাক, থালা-বাসন নিজে ধুয়েছি, পরিবেশ পরিষ্কার রেখেছি, পরিবার থেকে আলাদা থেকেছি।

সজল বলেন, আল্লাহ সবার দোয়া কবুল করেছে। আল্লাহ্‌র রহমত আর পরিবারের সবার দোয়ায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা সম্ভব হলো। দীর্ঘ ১১ দিন লড়াই করেছি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সঙ্গে। দুইবার নমুনা পরীক্ষার পর, অবশেষে করোনা যুদ্ধ জয় করে ফিরেছি।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা জয় সহজ ছিলো না জানিয়ে সজল বলেন, প্রতিটি দিন মৃত্যুভয়ে ছিলাম। অপ্রিয় হলেও সত্য, সবার থেকে কেমন যেন দূরে সরে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আর কোনোদিন পরিবারের কারো সঙ্গে দেখা হবে না। কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছিল।

তিন আরো বলেন, আইইডিসিআর-এর চিকিৎসকের পরামর্শ, পরিবার-বন্ধু-পরিজনদের দোয়া আর আমার চিকিৎসক মামার সহযোগিতা আমাকে শক্তি-সাহস দিয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে এ করোনাজয়ী বলেন, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। চিকিৎসকরা খুবই আন্তরিক। তাদের দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমেই এ যুদ্ধে জিততে পেরেছি। মহান আল্লাহ্‌র দরবারে লাখো শুকরিয়া। তিনি সবাইকে হেফাজত করুন।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.