265723

অস্থির সময়ে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক সামলাতে যা করবেন

করোনা-লকডাউন-ঘরবন্দি দিন মিলে সময়টা বড় অস্থির। এমন পরিস্থিতিতে নিজের এবং কাছের মানুষদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। আবার সংসার ও ঘরে বসে অফিস সামলানোর চাপও রয়ে গিয়েছে।

চাকরি থাকবে কি-না, বেতন কাটা হবে কি-না, কাটলেও কী পরিমাণে কাটা হবে…এসব নিয়েও উদ্বেগ অনেকের। আর এসব থেকে হতে পারে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক।

মনোবিদদের মতে, এই মিশ্র পরিস্থিতিতে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষজনই অস্থির হয়ে পড়ছেন। আর যাদের আগে থেকে মানসিক উদ্বেগ রয়েছে এসময় স্বাভাবিকভাবেই অসুখ বাড়বে। বাতাসে দূষণ কমার ফলে সাধারণ শ্বাসকষ্ট কমলেও অ্যাংজাইটি অ্যাটাক থেকে হওয়া শ্বাসকষ্ট কিন্তু দিন দিন বাড়ছে।

অ্যাংজাইটি অ্যাটাক সম্পর্কে জানুন

সাধারণত, কোনও কারণে আমাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে, বা ভয় পেলে অনেকেই জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নেন। কারও বা বুকে চাপ লাগে, অস্বস্তি হয়। মাথা ঘোরা, গা গোলানো, ঘাম হওয়া, দম বন্ধ লাগা এগুলো অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।

ভয় পেলে মস্তিষ্কের রক্তে আপদকালীন হরমোন বা অ্যাড্রিনালিন বেশি পরিমাণে মেশে। তাই তখন রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক থাকলেও শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হবে। সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমই এই অবস্থার জন্য দায়ী।

যা করবেন

>>প্রথমেই মনে রাখতে হবে, এমন পরিস্থিতি আপনার একার নয়। কমবেশি অনেকেরই। তাই এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। চাকরির জন্য নতুন কোথাও আবেদন করছেন বা নিজের অফিস নিয়ে চিন্তায় আছেন, লকডাউন কেটে না যাওয়া অবধি সেভাবে কোথাও কোনও সমাধান খুঁজে পাবেন না হয়তো। তাই এই সময়টুকু নিজেকে দিতে হবে।

>>খুব ভয় পেলে বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হলে প্রার্থনা কিংবা ধ্যান করুন। এমন কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, যার সঙ্গে অনেক মনের কথা ভাগ করতে পারেন, যিনি আপনাকে বোঝেন।

>নিয়মিত ব্যায়াম করলেও মানসিক উদ্বেগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।

>তাছাড়া আজকাল অনলাইনে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ নেওয়া যায়। কোনোভাবেই মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

সূত্র: ঢাকা টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.