265591

আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল চীনের ভ্যাকসিন

সময়ের আতঙ্ক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ লাখ ৪ হাজার ১ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৭ জন।
গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে ভাইরাসটির আবির্ভাব ঘটে। এরপর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ভাইরাসটি ঠেকানোর জন্য শুরু থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এরইমধ্যে ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশটি। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোনাভাইরাসের জন্য তৈরি চীনের একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ আরো এগিয়ে গেছে।

সংবাদ সংস্থা ডেইলি মেইলের তথ্যানুযায়ী, ১০৮ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ওই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো ফল দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিনটি ওই স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনা রোগীদের দেহে এন্টিবডি উৎপাদন হওয়াটা একটি ভালো লক্ষণ যা তাদেরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে এখনই এ নিয়ে একেবারে নিশ্চয়তা দিতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। তারা এ বিষয়টি নিয়ে আরো গবেষণা করতে চান।

ভ্যাকসিন তৈরি কাজ এগিয়ে নিতে এসব বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়।

যেসব স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগের দেহেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। যদিও তাদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্ডিবডির মাত্রা ছিল কিছুটা কম।

মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানচেটে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে তাদের ভ্যাকসিন সহনীয় হয়ে উঠেছে এবং নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০৮ জনের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের দেহে নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারো দেহেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.