264171

বলিউডে গুগল সার্চে শীর্ষে কনিকা

এক মাসের বেশি হল ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে এই পথই নিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি আক্রান্ত দেশ। এই লকডাউনের সময়ে গুগল সার্চে নেটিজেনরা কী দেখছেন সম্প্রতি তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইয়াহু। সেখানে দেখা গেছে, ৪২৭ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রান্ত লেখা দেখতে পছন্দ করছেন।

তবে মজার ব্যাপার হল, ভারতীয় তারকাদের মধ্যে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে পেছনে ফেলে এক নম্বর সার্চে রয়েছেন বলিউডের ‘বেবি ডল’ খ্যাত জনপ্রিয় গায়িকা কনিকা কাপুর। তালিকায় নাম নেই সালমান খান বা রজনীকান্তেরও। সবচেয়ে বেশি সার্চ করা তারকাদের তালিকায় শীর্ষে কনিকা।

লকডাউনের আগে পর্যন্ত দীপিকা পাড়ুকোন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াই ছিলেন তালিকার সবচেয়ে উপরের দিকে। লকডাউন চলাকালীন প্রিয়াঙ্কাকে সরিয়ে এসেছেন দিশা পাটানি। দীপিকা পাড়ুকোন ও সারা আলি খান রয়েছেন প্রথম পাঁচে। গত মাসে প্রথম পাঁচে ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। কিন্তু হঠাৎ কনিকার শীর্ষে উঠার কারণ কী, তাই নিয়ে চলছে জল্পনা।

কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কনিকা কাপুর। সুস্থ হয়ে লখনউতে নিজের বাড়িতেও ফিরেছেন গায়িকা। ছয় বার পরীক্ষার পর তার করোনার রেজাল্ট পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সময় থেকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত নানা কান্ড কারখানা করেন কনিকা। যার কারণে কনিকাকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা।

হাসপাতালে ভর্তির কিছুদিন আগে লন্ডন থেকে ফেরেন কনিকা। অভিযোগ ওঠে, সেসময় স্ক্রিন টেস্ট এড়াতে নাকি বিমানবন্দরের বাথরুমে লুকিয়েছিলেন তিনি। এরপর শরীরে করোনা নিয়েই লখনউতে একাধিক পার্টিতে অংশ নেন। হাসপাতালে ভর্তির পরও নাকি সেখানে তিনি তারকাসুলভ আচরণ করতে শুরু করেন, নানা রকম বায়না করতে থাকেন।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ নিয়ে এর আগে কনিকা কিছু না বললেও সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে গায়িকা লিখেছেন, ‘আমার করোনাযুদ্ধ নিয়ে অনেকেই নানা কথা বলেছেন। তবে আমি সত্যিটা জানাতে চাই।’ তার দাবি, এখন তিনি লখনউতে পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছেন।

কনিকা বলেন, লন্ডন থেকে ফেরার পর তার করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। এমনকী অন্তর্দেশীয় বিমানে লখনউ পৌঁছনোর পরও তিনি অসুস্থ হননি। সুস্থ অবস্থাতেই লাঞ্চ ও ডিনারে গিয়েছিলেন। কোনো পার্টিতে তিনি যাননি। যাদের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন তারা কেউই করোনায় আক্রান্ত হননি।

সূত্র : ঢাকা টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.