কবির শান্তিনিকেতন যেন পাখিদের পাঠশালা
সোর্স এইসময়
অন্য সময় হাজার হাজার পর্যটক, বাস, গাড়ি, অটো, টোটোর কোলাহলে ভরে থাকে শান্তিনিকেতন। সেই কারণে এখানকার প্রকৃতি অন্য জায়গার তুলনায় একটু অন্যরকম হলেও বাধা পাচ্ছিল পাখিদের অবাধ বিচরণ। ছেদ পড়ছিল তাদের চলাফেরায়।
লকডাউনের জেরে গত একমাস ধরে সবাই যখন গৃহবন্দি তখন শুনশান রাস্তায় ওরা নেমে পড়েছে চরম খুশিতে। শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা ওয়ার্ল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ঊর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘শান্তিনিকেতনে পাখিদের আস্তানা ছিলই। কিন্ত লাগামছাড়া পর্যটকদের আনাগোনা, গাড়ির আওয়াজে আতঙ্কে থাকত পাখিরা। এখন দীর্ঘদিন ধরে কোনও কিছুই নেই। তাই ওরা আবার আসতে শুরু করেছে আপন ইচ্ছায়।’
শালবীথি, ছাতিমতলা, মাধবী বিতান, আম্রকুঞ্জ, বকুল বীথি, গৌর প্রাঙ্গণ জুড়ে এখন বসন্ত বৌরি, কোকিল, টিয়া, ময়না পাখিদের পাঠশালা চলছে। কখনও গাছে, কখনও মাটিতে নেমে বটের পাকা ফল খাচ্ছে পাখির দল। গোটা আশ্রম প্রাঙ্গন এখন গ্রীষ্মকালীন পরিযায়ী পাখিদের আস্তানা।
বীরভূম বন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর লকডাউনের মাঝে শান্তিনিকেতন এলাকায় একাধিক পাখির দেখা মিলেছে। যেমন, হরিয়াল, সোনা বৌ, কাঠ শালিক, তেলে মুনিয়া, বসন্ত বৌরি, যাদের সচরাচর দেখা যায় না। তবে শুধু আশ্রম চত্বর নয়, পূর্ব পল্লি, গুরু পল্লি, রতন পল্লি, শ্রীনিকেতন ক্যাম্পাসেও পাখিদের কলতান। বাধা দেবার কেউ নেই তাই তাদের কাছে সব থেকে আপনার এখন শান্তিনিকেতন। বীরভূমের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, ‘শান্তিনিকেতনের বৃহত্তর এলাকা জুড়ে লকডাউনের মাঝে পাখিদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়েছে।’