263162

নবজাতককে টয়লেটে ফেলে দিলেন মা

ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরের চৌগাছায় বিয়ের পাঁচ মাসেই সন্তানের জন্ম দিয়ে শ্বশুরবাড়ির টয়লেটে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেশমা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় করা মামলায় আজ শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ মাস আগে চৌগাছার পুড়াপাড়া-ক্লাবপাড়া গ্রামের নাজমুল হোসেনে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের রেশমা খাতুনের বিয়ে হয়।

গত বুধবার রাতে প্রসবযন্ত্রণা উঠলে শ্বশুরবাড়ির কাঁচা (গর্ত করে তৈরি) টয়লেটে যান রেশমা। সেখানেই তিনি সন্তান প্রসব করেন। পরে তিনি ওই নবজাতককে হত্যা করে একটি কাপড়ে জড়িয়ে টয়লেটের হাউজে ফেলে দেন। এ সময় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান রেশমার নানি শাশুড়ি। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি রেশমার কাছে জানতে চান তিনি। তখন রেশমা সেই কান্নার আওয়াজের বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন।

রেশমার কাছে তার নানি শাশুড়ি জানতে চান, ‘তোর পেটের টিউমার কোথায় গেল? রাতে বাচ্চার চিৎকার শুনলাম, কী করলি?’

পরিবারের সদস্যদের চাপাচাপির একপর্যায়ে সন্তান জন্মের বিষয়টি স্বীকার করে। তখন বাড়ির লোকজন টয়লেটে লাঠি দিয়ে সন্তানের অস্তিত্ব খুঁজে পায়।

বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবর পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় রেশমাকে আটক করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের সনদ নেওয়ার পর আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে চৌগাছা থানা পুলিশ রেশমার বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। দুপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব জানান, পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেশমা স্বীকার করেন, তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময়ে দুই ব্যক্তির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করেন। সন্তানটির প্রকৃত বাবা কে, তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি বিয়ের সময় লুকিয়ে ছিলেন রেশমা। পেটে টিউমার বলে তখন সেটি চালিয়ে দেন তিনি।

ওসি আরও জানান, রেশমার বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই মামলায় রেশমাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সূত্র : আমাদের সময়

পাঠকের মতামত

Comments are closed.