262062

তরুণ প্রজন্মের উচিত মৌলিক গানের প্রতি মনোযোগ দেয়া

ডেস্ক রিপোর্ট : গত কয়েক বছর ধরে নতুন গানে সরব ডলি সায়ন্তনী। পাশাপাশি স্টেজেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নিজের ব্যস্ততাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন

কেমন আছেন?

বেশ ভালো। ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটছে।

বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?

ব্যস্ততাতো গান নিয়েই। স্টেজ শো এর প্রেসার রয়েছে। তাছাড়া নতুন গানের কাজ চলছে। বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের জন্যও গান করছি।

সম্প্রতি ভালোবাসা দিবসের বিশেষ ‘পাঁচফোড়ন’ অনুষ্ঠানের জন্য একটি গান গেয়েছি। এটি লিখেছেন প্রদীপ সাহা আর সুর করেছেন অভি আকাশ। ঢাকার একটি মনোরম লোকেশনে গানটির চিত্রায়ন করা হয়েছে। আগামীকাল এটিএন বাংলায় প্রচার হবে বিশেষ এ ‘পাঁচফোড়ন’। আশা করছি গানটি সবার ভালো লাগবে।

নতুন বছরতো শুরু হলো। পরিকল্পনা কি?

আসলে স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে এখন। নতুন বছরটি কিন্তু গানে গানেই শুরু করেছি। নতুন গান প্রকাশ হয়েছে। তবে এ বছরের পরিকল্পনা একটু অন্যরকম। বছরজুড়ে গান প্রকাশ করবো বলে ঠিক করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমার পুরনো জনপ্রিয় দুটি গান পর পর দুই মাসে প্রকাশ করবো। বাকি আরো কিছু পুরনো গানও চলতি বছর নতুন সংগীতায়োজনে প্রকাশ করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।

পুরনো গানের সঙ্গে নতুন গানও তো করছেন?

হ্যা। নতুন গানও করছি। বেশ কিছু নতুন গানের কাজ চলছে। সেগুলোর রেকর্ডিং করবো দ্রুতই। আর আমার পুরনো গানগুলো ভিডিওসহ নিয়মিত প্রকাশ করবো।

এখন গানের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?

অবস্থা আর আগের মতো নেই। সেই সময় আর আসবেও না। কারণ আমাদের অ্যালবাম প্রকাশ হতো উৎসবমুখর পরিবেশে। সারা বছরই গান হতো। একক, দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামের গানের রেকর্ডিংয়ে সময় দিয়ে ফুরসতই পেতাম না। সেই সময়টা খুব মিস করি। এখন তো সিডিই নেই। ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। গানও শ্রোতারা ডিজিটালি শুনছে। এখনকার হিসেব আলাদা। তবে সময়ের সঙ্গে অবশ্যই চলতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় ডিজিটালি আমার গানগুলো প্রকাশ হচ্ছে। তবে গানের ক্ষেত্রে আরো পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। আর কোম্পানিগুলোরও এগিয়ে আসা উচিত। কারণ ভালো গানগুলোর প্রচারণা দরকার। অনেক ভালো গান প্রচারণার অভাবে পিছিয়ে পরছে। সেটা যেন না হয় সেই চেষ্টা সবাই মিলে করা উচিত।

তরুণ প্রজন্ম কেমন করছে বলে মনে হয়?

ভালো-খারাপ সব সময়ই ছিল। এখনো আছে। এটা থাকবেই। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই খুব মেধাবী। অনেকের লেখা, সুর ও গায়কি ভালো লাগে আমার। তবে এখন কাছাকাছি সুরের গান বেশি হচ্ছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। গানে ভাঙা-গড়ার খেলা কম। আর সে কারণে গান কম স্থায়ী হচ্ছে। একটা গান জনপ্রিয় হলে সেটা বেশিদিন টিকে থাকে না।

আবার আরেকটি গান এসে জায়গা করে নিচ্ছে। আগের গানটি কেউ মনেও রাখছে না। আসলে কথা, সুর, গায়কি ভালো মানের না হলে সেই গান টিকে থাকার নয়। আর একটা কথা। সেটা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের উচিত মৌলিক গানের প্রতি মনোযোগ দেয়া। এখন কাভার গানের ছড়াছড়ি দেখছি। কাভার গান করতে দোষ নেই। তবে মৌলিক গানে বেশি জোর দিতে হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.