261913

বোন হারানোর বেদনা নিয়েই মাঠে নেমেছিলো আকবর

ডেস্ক রিপোর্ট : যুব বিশ্বকাপ চলাকালে বোনকে চিরদিনের মতো হারান আকবর আলি। আফ্রিকা বসেই মৃত্যু সংবাদ পান। বোনকে হারানোর ব্যথা বুকের ভেতরটায় দগদগে ক্ষত সৃষ্টি করলেও ভেঙে পড়েননি আকবর। স্বপ্ন যে বহুদূর! দেশকে বিশ্বজয়ের মুকুট এনে দিতে হবে। তাই বীরকে কি অত সহজে ভেঙে পড়লে চলে?

শেষ পর্যন্ত বোনের মৃত্যুও টলাতে পারেনি আকবর আলিকে। শোককে শক্তিতে পরিণত করেন এই ক্রিকেটার। দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়ে তবেই ক্ষান্ত হন এই ক্রিকেটার। এর মধ্য দিয়ে সবার সামনে স্থাপন করলেন পেশাদারিত্বের অনন্য এক নজির।

রোববার পচেফস্ট্রমে ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপ জেতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কিন্তু বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটের জয়টা সহজ ছিল না। দলের বিপর্যয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন আকবর। শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে লাল-সবুজদের বহুকাঙ্ক্ষিত রবিবাসরীয় জয় এনে দেন তিনি। তারই হাতে শোভা পায় চ্যাম্পিয়নের ট্রফি।

এজন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আকবরকে। বুকে চাপা দিতে হয়েছে পাহাড়সম পাথর। যা শুনলে ভ্রু কুচকে যাবে যে কারো। সদ্য সমাপ্ত বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চলার সময়ই তার বোন মারা যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেই সেই শোকের খবর পান তিনি।

কিন্তু দমে যাননি আকবর। বিন্দুমাত্র তাতে ভেঙেও পড়েননি। শোককে শক্তিতে পরিণত করেন তিনি। হয়ে ওঠেন অদম্য, দুর্জয়। শেষ অবধি জিতলেন টাইগার যুবা। জিতলেন দেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিশ্বের দরবারে সমুজ্ব্বল হলো বাংলাদেশের মুখ।

আকবরের পারিবার বলছে, ২২ জানুয়ারি যমজ সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মারা যান তার বোন। সুদূর আফ্রিকা বসেই এ খবর পান তিনি। বিসিবি এক কর্মকর্তা তার কাছে এ খবর পৌঁছে দেন।

তবে নড়ে যাননি আকবর। এর পরেও দেশ এবং দলের স্বার্থে খেলা চালিয়ে গেছেন তিনি। শোককে শক্তিতে পরিণত করার উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ১৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার এ আনন্দের মুহূর্তটি তার বড় বোন দেখে যেতে পারলেন না। এ কষ্ট নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে টাইগার যুবাদের অধিনায়ককে। সূত্র: যুগান্তর

পাঠকের মতামত

Comments are closed.