261717

বিয়ে করতে অর্থের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন গবাদি পশু!

ডেস্ক রিপোর্ট : যার যত বেশি গবাদি পশু রয়েছে তোর সঙ্গেই বিয়ে দিতে রাজি কনের পরিবার। আজব এক নিয়ম বটে!

জুলু জনগোষ্ঠী দক্ষিণ আফ্রিকার এক বৃহত্তম নৃগোষ্ঠী। প্রায় ২০ মিলিয়ন জুলু সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানকার অন্তত ছয়টি দেশে বসবাস করছেন। জুলুর ইতিহাস ও সংস্কৃতি সবারই দৃষ্টি কাড়ে। নৃতাত্ত্বিক মতে, খুবই অদ্ভুত কর্মকাণ্ড ও বিশৃঙ্খল নিয়ম কানুনে পরিপূর্ণ জুলু জাতি। সবচেয়ে মাজর বিষয় হলো তাদের বিয়ে, জুলুদের বিবাহ চুক্তিকে ইলোবোলো বলা হয়। যা দাম্পত্য সম্পদের অর্থনৈতিক ভিত্তি হিসেবে বোঝায়।

একজন বর তার কনের পরিবারকে যা দেয় তাকে লোবলা বলে। যা বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে দেয়। লোবলা হিসেবে দেয়া হয় সর্বনিম্ন ১০টি গরু। এজন্য যে পরিবারে গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি সেই পরিবারেই কনেকে বিয়ে দেয়ার চাহিদা বেশি এই সম্প্রদায়ে। কারণ এতে লাভবান হয় কনের পরিবার। বিয়ে করতে হলে গবাদি পশুর প্রয়োজন, তাইতো জুলু সম্প্রদায়ের ছেলেরা সারাদিন পশু পালনেই ব্যস্ত থাকেন।

একজন পুরুষ যদি কোনো নারীকে ভালোবেসেও থাকেন তবে তার ধ্যান জ্ঞান থাকে পশু পালনের উপর। কারণ পশুর সংখ্যা না বাড়ালে সঙ্গিনীর তো বিয়ে হয়ে যাবে অন্যত্র! এই ভয়েই বিয়ের আগ অব্দি দিন কাটায় ছেলেরা। যেহেতু জুলু সম্প্রদায় পুরুষতান্ত্রিক, তাই নারীর অধিকার রক্ষায় স্ত্রীকে গবাদি পশু উপহার দিতে হয়। এই রীতি প্রাচীনকাল থেকেই চলমান। এই রীতি অনুসারে যে পাত্রের পরিবার বেশি সংখ্যক গবাদি পশু উপহার দিতে প্রস্তুত তারই অধিকার থাকে বেশি কনেকে বিয়ে করার। এজন্য কনের পরিবার সর্বদা তেমন পরিবার খুঁজে বেড়ায়।

তবে ১৮৬৯ সালে, একটি নিয়ম বেঁধে দেয়া হয় কোন শ্রেণির সক্ষমতা কতটুকু। সাধারণ শ্রেণি থেকে আগত কনেদের পরিবার বিয়ের জন্য ১০টি, উচ্চ বংশের কনের জন্য ১৫ টি গরু এবং সেখানকার সবচেয়ে সুন্দরী ও ধনী কনের জন্য ২০টি গরু উপহারের নিয়ম রয়েছে। তবে ১০ টির নিচে গরু কোনো পরিবারই আশা করে না।

সূত্র: ফেসটুফেসআফ্রিকা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.