261247

ত্বকের যত্নে দুধ

ডেস্ক রিপোর্ট : দুধ একটি আদর্শ খাবার। তা সবারই জানা, তবে জানেন কি? ত্বকের যত্নেও দুধ অনেক উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই সৌন্দর্যচর্চার উপকরণ হিসেবে দুধ শীর্ষে অবস্থান করছে। রাণী ক্লিওপেট্রার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন! ধারণা করা হয়, প্রতিদিন তিনি দুধ মেশানো পানিতে গোসল করতেই বলেই চিরযৌবনা ছিলেন!
দুধ ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে থাকে। যার ফলে সান ট্যান ও কালচে দাগ সহজেই দূর হয়। এছাড়াও দুধ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে থাকে সঙ্গে আর্দ্রতাও যোগায়। বয়সের ছাপ দূর করতে অবশ্যই নিয়মিত কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে হবে।

দুধে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও ল্যাকটিক এসিড। যা ত্বক সুরক্ষায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এজন্য দুধ খেলেও যেমন উপকার মিলবে তেমনি বাহ্যিক ব্যবহারেও এর পুষ্টিগুণ শুষে নেবে ত্বক। যাতে লাভবান হবেন আপনিই। এবার তবে জেনে নিন যে পাঁচ কারণে সবারই প্রতিদিন ত্বকে দুধ ব্যবহার করা উচিত-

১. ত্বকে পড়া বলিরেখার সঙ্গে লড়াই করে দুধ। কারণ এতে রয়েছে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড। যা ল্যাকটিক অ্যাসিড নামে পরিচিত। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কেউ সপ্তাহে অন্তত তিনবার টানা তিন মাস ধরে ত্বকে দুধ ব্যবহার করে তবে তার বলিরেখা দূর হবে। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে উজ্জ্বল, কোমল ও দাগহীন মসৃণ ত্বক উপহার দেয়।

২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা রয়েছে। বিভিন্ন প্রসাধনীতে থাকা কেমিকেলের ক্ষতিকর প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে দুধ। এজন্য কাঁচা দুধের সঙ্গে বাথ সল্ট মিশিয়ে ব্যবহার করলে স্ক্রাবিংয়ের পাশাপাশি ত্বক হবে উজ্জ্বল। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এটি ব্যবহার করুন।

৩. রোদে পোড়া ত্বককে বাঁচাতে দুধের রয়েছে অসামান্য দক্ষতা। কারণ দুধে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড যা ত্বকের কোলাজেনের বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়াও রয়েছে প্রোটিন, যা ত্বকের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখে।

৪. ত্বকে থাকা বিভিন্ন কালচে দাগ, বাদামি তিল, ব্রণের দাগ, মেছতা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান রয়েছে দুধে। এজন্য কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে গাঢ় করে পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করলে ফল মিলবে দ্রুত।

৫. অনেকেই শুষ্ক ত্বক নিয়ে বিপাকে থাকে। এতে ত্বক তার সজীবতা হারায়। এজন্য দুধ ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। দুধে থাকা প্রোটিন ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য ফুল ক্রিম মিল্ক ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।

নারী বা পুরুষ সবাই ত্বকের সমস্যায় দুধ ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত এক গ্লাস দুধ রাখুন। এতে শরীরের অনেক পুষ্টিগুণের চাহিদাই পূরণ হয়ে যাবে। ফলে শরীর থাকবে সুস্থ, ত্বকও পাবে উজ্জ্বলতা। সূত্র: কিউরজয়

পাঠকের মতামত

Comments are closed.